পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांत्रिक @हांदब्ौ ধমক দিতেন, এখন নবাগত ছেলেটার চমকপ্ৰদা পাকামিতে স্তম্ভিত হয়ে যাওয়ায় মেয়েকে শাসন করতে বোধ হয় ভুলে গেলেন। যতবড় বেয়াদপি হোক, বাড়ীতে যে পা দিয়েছে মোটে পাঁচ মিনিট, তার ওপর গর্জন করে ওঠা উচিত নয় ভেবে আত্মসম্বরণের অতি কষ্টকর চেষ্টায় কাতর হয়েই সম্ভবতঃ তিনি হঠাৎ ধাপ করে চৌকিতে বসে পড়লেন। চৌকীটা কাঁচ মচ শব্দ করে প্রতিবাদ জানাল। দিবাকর বাবুৱ দেহটি প্রকাণ্ড, চুলে পাক ধরলেও গায়ে তার এখনো অসম্ভব জোর। এই কদিন আগে তার বিরাট থাবার থাবড়া খেয়ে মেজছেলে সুকান্ত ভিরমি খেয়ে পড়ে গিয়েছিল। \ সকলের মুখের ভাব দেখে রমেন কি বুঝল সেই জানে, ক্ষমা প্রার্থনার সুরে ধীরে ধীরে বলতে লাগল, “তাই বলে গুরুজনদের ভক্তি করি না ভাববেন না। কিন্তু ছোট পিসীমা। মানুষের পায়ে কত ধূলোবালি ময়লা লাগে, পায়ে হাত দেয়া छेज़िंड नश दल ७०ांभ कब्रि भा । বাবাও তাই বলেন । গুরুজনকে ভক্তি করি, পায়ের ময়লাকে তো ভক্তি করি না । একজনের পা থেকে ময়লা নিয়ে নিজের কপালে লাগানোর কোন মনে হয় ? দিবাকরবাবু, আর সামলাতে পারলেন না, সিংহের মত গর্জন করে উঠলেন, “মানে বুঝেছি। তুমি একটি এক নম্বরের জ্যাটা ছেলে। যা, ওঘরে যা ।” রমেন যেন আশ্চৰ্য হয়ে গেল, একপা দিবাকরবাবুর কাছে এগিয়ে. গিয়ে জিজ্ঞেস করল “রাগ করলেন পিসেমশাই ?” দিবাকরবাবুও নির্বক বিস্ময়ে একটুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকে চৌকী ছেড়ে উঠে গটগট করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। রমেন আপন মনে বলল, “পিসেমশাই রাগ করেছেন।” সে যেন বুঝতে পারছে না কেন দিবাকরবাবু রাগ করলেন, তার যেন বিশ্বাস হচ্ছে না দিবাকরবাবু সত্য সত্যই রাগ করেছেন। বেলা তখন প্ৰায় ১১টা বাজে । রমেনকে নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কারও ছিল না । লোক তো বাড়ীতে কম নয়, নাওয়া খাওয়ার হাঙ্গামাও তাদের সহজ নয়। তাছাড়া আশ্ৰিত হিসাবে বাড়ীতে থাকবার জন্য যে এসেছে তাকে নিয়ে অত ব্যস্ত হবার গরজই বা হবে কার । রমেনের ট্রাঙ্কটা বৈঠকখানা থেকে ভেতরের একটা ঘরে নিতে সাহায্য করে সেই ষে চাকরিটা কোথায় গেল আর তার পাত্তা নেই। দরজার সামনে দিয়ে (V) a