পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে রাগিয়া বলে, “আড়ি পেতে শোনা হ’ল বুঝি কথা ? না হল না! কচি খুকী। কিনা আমি, বুঝিনে কিছু। লজ্জা করে না ? বেহায়া ।” তাহার শীর্ণ দেহ থর থর করিয়া কঁপিয়া ওঠে। একটানা দুঃখ শ্ৰেয় জানিয়া সে যেন সংযম অভ্যাস করে, সুমতি প্রলোভনটা সামনে ধরিয়াছে বলিয়া তাই তার qऊ ब्रां१ों ! দক্ষিণের জানালার কাছে ইজিচেয়ারে অৰ্দ্ধশায়িত অবস্থায় অক্ষয় মোটা ডাক্তারি বই পড়ে। বারেকের জন্যও সে মুখ তুলিয়া তাকায় না। ঘরে যে বেদনার একটা স্থূল অভিনয় হইয়া গেল সে বিষয়ে সচেতন হইয়া উঠিবার মত অনুভূতিও তাহার যেন নাই। তা অক্ষয় এমনি বটে,-নির্বিকার, নিম্পূহ। কিছুই তাহাকে বিচলিত করিতে পারে না। গৃহে শয্যাগত স্ত্রীর আনন্দহীন বৈচিত্র্যহীন বোঝা, বাহিরে কেবল রুগ্ন ও আহত মানুষের সাহচর্য এবং মরণের সঙ্গে অন্তহীন বোঝাপড়ার ক্ষুব্ধ স্তিমিত বিষাদ,-সবই যেন তাহার কাছে একান্ত তুচ্ছ। সুপ্ৰাপ্য বলিয়াই বেদনা যেন মূল্য হারাইয়াছে। দিনটা এক প্ৰকার বাহিরেই কাটে। সকাল সাতটায় ডিসপেনসারীতে যায়, সেখান হইতে কলে। বাড়ী ফিরিতে একটা বাজিয়া যায়। সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠবার আগে সে সুমতিকে জিজ্ঞাসা করে,-“ও খেয়েছে ? সুমতি বলে, ‘হঁ্যা ।” 'ड्रशि মুখের দিকে তাকায় না বলিয়া প্রশ্নটা নিছক ভদ্রতাসূচক মনে হয়। “আপনি তো জানেন আমি শেষবেলায় হবিষ্য করি।” “ও ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ বেলায় হবিষ্য করার কি দরকার ? রাত্রে কিছু খাও না বুঝি সুমতি ?” 'थछे।' “তবে ? বলিয়া জবাবের জন্য ক্ষণকাল অপেক্ষা করিয়া অক্ষয় উপরে উঠিয়া যায়। জবাব যে সুমতি দিতে পারে না। এমন নয়, ইচ্ছা করিয়াই দেয় না। রাত্রে সে অবশ্য কিছু জলযোগ করে কিন্তু এগারটার আগে নয়, তার আগে তাহার সময় 8)