পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী "ק8 א6 ক্ষমা চায় দুপুরে খাইতে আসিয়া। অন্য দিনের চেয়ে একটু সকাল করিয়াই আসে । হাত জোড় করিয়াই হাসিয়া ফ্যালে। বলে, “ক্ষমা সুমতি ।” ইহাতে নন্দকে ক্ষমা করিবার সুবিধাই হয়। কারণ সুমতির মুখের দিকে চাহিয়া সে আর হাসিতে পারে না ! তাহার চোখ দুটি ছল ছল করিতে থাকে। বলে ‘এবারকার মত ক্ষমা করে ফেল সুমতি, সত্যি বলছি আর কোন দিন তোমাকে ঠাট্টা করব না ।” ঠাট্ট ! সুমতি গম্ভীর মুখে বলে “আচ্ছা।" ' || খুশী হইয়া শিস দিতে দিতে নন্দ চলিয়া যায়। কি অপরাধে সুমতির কাছে হাত জোড় করিয়া ক্ষমা চাহিতে হইয়াছিল, বাকী দিনটুকুর মধ্যেই সে কিন্তু তাহ। সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়। রাত্রে সে যখন ফেরে অক্ষয় হয়ত খাইতে বসিয়াছে, অদূরে বসিয়া সুমতি তাহার আহারের তত্ত্বাবধান করিতেছে ; খাইতে বসিয়া অক্ষয় কথা বলে না, কখন কি প্ৰয়োজন খেয়াল রাখিয়া চাহিয়া নিতে পারে না, সুতরাং তাহার খাওয়ার উপর সুমতিকে তীক্ষ নজর রাখিতে হয়। উকি দিয়া দেখিয়া নন্দ নিজের ঘবে চলিয়া যায়। আহারান্তে অ্যাচাইয়া অক্ষয় উপরে চলিয়া না গেলে সে খাইতে अicन कां । আসনে বসিয়া বলে “ওর সঙ্গে কেন খেতে বসি না জান ?” নন্দর ছলো ছলো চোখদুটির কথা সুমতির মনে ছিল, সে সদয়ভাবে হাসিস। বলে ‘জানি বৈকি। যতই হোক উনি মনিব তো ।” • ‘ও: ভারি মনিব । আর তিনটা বছর পড়লে আমি ওর চেয়ে বড় ডাক্তার হ’তম এ্যাদিনে, তা জান ? বলতে পারলে না।” সুমতি একটু ভাবিবার ভান করিয়া বলে “তবে ওঁকে দেখতে পারো না বলে বোধ হয় ।” নন্দ ভাবিয়া বলে “তাও নয়। ভাগের পূজায় আমার রুচি হয় না বলে । “ভাগের পূজা ! পূজা ! সুমতির যেন চমক ভাঙ্গে । এবং দেখিতে দেখিতে । সমস্ত মুখ তাহার রাগে। লাল হইয়া উঠে । এমনিভাবে দিন কাটে। মনের জোরে যে দূরত্ব সুমতি বজায় রাখিতে পারে (V