পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रिक @ांशांदव्ी তা নিশ্চয় মারে না, কিন্তু তাই বলিয়া কি এরূপ মন্তব্য করিবার অধিকার ডাক্তারের জন্মায় ? সুমতির বয়স ত কম হয় নাই যে ইহাকে হেঁয়ালি মনে করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া থাকিবে, কোন জবাব দিবে না। একান্ত অবিচলিত ভাবেই সুমতি বলিল, “তা বৈকি। কর্তব্যের সঙ্গে সব সময় হৃদয়ের যোগ থাকবে তার তো কোন মানে নেই।” অক্ষয় ভ্ৰকুঞ্চিত করিল। সুমতির মুখখানি অনেকক্ষণ নীরবে নিরীক্ষণ করিয়া বলিল কিন্তু কোনমতে একটা কর্তব্যের সঙ্গে হৃদয়ের যোগ ঘটে গেলেই আর সব কর্তব্য ভুলিয়ে দেয়।” \ ইহাও - হেঁয়ালি নয়। সুমতি বলিল ‘তা দেয়, কিন্তু কোন কর্তব্যের সঙ্গে কার হৃদয়ের যোগাযোগ ঘটেছে অন্য কর্তব্যে অবহেলা দেখেই সব সময় সেটা ধরা श्रांश ना । कॐदJद्म 6डl 0छb दएछ अछि ।' ওষুধের শিশি হাতে আকাশের সন্ধ্যার নীচে উঠানে দাড়াইয়া এমন করিয়া আত্মসমর্থন করিতে সুমতির গলা বুজিয়া আসিতেছিল। অথচ এ সমস্ত অক্ষয়কে জানানো প্ৰয়োজন । হৃদয়ের হিসাব-নিকাশ যে চিরকালের মত সে চুকাইয়া ফেলিয়াছে অক্ষয়কে ইহা বিশ্বাস করাইতে না পারিলে তাহার। আর উপায় নাই। বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা টাকার কাছে হার মানিতে পারে।-একটি মরণাপন্ন শসালে রোগীর জীবন মরণের ভার নিতে অক্ষয় আপত্তি করে নাই। রাত বারোটা অবধি তাকে বঁাচাইবার চেষ্টা করিয়া অক্ষয় বাড়ী ফিরিতেছিল। দারোয়ান প্রভুর প্রতীক্ষায় ঢুলিতে ঢুলিতে রামায়ণ পাঠ করিতেছিল, সেই অক্ষয়কে দরজা খুলিয়া দিল। নন্দর ঘরের সামনে দিয়া অন্দরে যাইবার পথ ।। ঘরে আলো জলিতেছিল, দরজা খোলা। জেলখানার আধা ঘুমন্ত শাস্ত্রীর মত বুকে চিবুক ঠেকাইয়া নন্দ লম্বালম্বি ঘরটা পরিক্রমণ করিতেছিল, গতি অত্যন্ত মন্থর, যে কোন মুহুর্তে ঘুমাইয়া পড়িয়া মেঝের উপর ঢলিয়া পড়া যেন আশ্চৰ্য নয়। মেঝেতে লাঠি ঠুকিয়া অক্ষয় বলিল “তুমি যে যাওনি হে?” ২ नन्ल iिgांछेल । 'না, যাইনি।” ‘কেন ? যাওনি কেন ? (R &ጋጋ”