পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওমিলনাইন প্রমথ হঠাৎ বলে, ইয়াবি হচ্ছে নাকি আমার সঙ্গে ? হাসিরাশি স্তম্ভিত হইয়া বলে, ইয়াকি ? কি বলছি তুমি ? প্রমথ মুখ ফিরাইয়া বলে, আমি সর্ষের তেল ছাড়া কিছু মাখি না জান না তুমি ? একদিন অন্য তেল মাখতে বললে বুঝি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় ? হাসিরাশি অভিমান করিয়া থাকে। স্ত্রীর অভিমান ভাঙ্গাইতে গিয়া এবার প্ৰমথের মন ক্ষোভে দুঃখে পূর্ণ হইয়া যায়। আর একজন মিষ্টি মিষ্টি কথা বলিয়া ভাঙ্গাইবে শুধু এই জন্য যে অভিমান, এবার সে অভিমানকে তার অতি কদৰ্য বলিয়া মনে হয়। সরলতা না ছাই। এক রঙা ছবির মত শুধু বৈচিত্র্যের অভাব। হাসিরাশি আগে যে সাধারণ একটা তেল মাখিত, ওমিলনাইন তেলের তুলনায় সে তেল যেমন, কুটিল ও জটিল সুনীতির তুলনায় হাসিরাশিও তেমনি। ছুটি শেষ হওয়ার দু’দিন আগে প্রমথ একদিন হঠাৎ হাসিরাশিকে বলিল, তোমাকে নেবার জন্যে। ওরা খুব ব্যস্ত হয়েছে, না ? হাসিরাশি বলিল, হবে না ? প্ৰায় আট মাস হল এসেছি। তোমারও খুব যেতে ইচ্ছে করে তো ? ওমা, বাপের বাড়ী যেতে ইচ্ছে করে না। কার ? . সুদীর্ঘ শ্বাস টানিয়া হাসিরাশির মাথার ওমিলনাইন তেলের ভ্ৰাণ গ্ৰহণ করিয়া প্রমথ বলিল, তা’হলে চল কাল আমরা বেরিয়ে পড়ি। তোমাকে বাপের বাড়ী পৌছে দিয়ে আমি এক কুমিল্লা চলে যাব। একা একা আমার খুব কষ্ট হবে বটে, তবু