পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী বাড়ীর সকলকে আর পাড়ার অন্য বাড়ীর যে ক’জনকে পারে একদিন ডেকে এনে একত্র করে সামাজিক সম্পর্কের ভূমিকা স্থাপনের একটা উপলক্ষ খুজিছিল রম্ভ । ভোজ দেওয়া যায় না, সে অনেক খরচ, বিয়ে-টিয়ের মত মস্ত ব্যাপার ছাড়া চলে না । অকারণে বা খাপছাড়া কারণে সকলকে ডেকে এনে শসা বাতাসাও খাওয়ানো যায় না, সবাই কি ভাববে | ভেবে চিপ্তে 凶夺 পূর্ণিমায় রম্ভ সবাইকে সিন্নী খাওয়াবার আয়োজন করল। পাক। কলা LBDD D BB DDD DBBBDS B DDD SS S BDBBBD BDBL দুধ পড়ল সের দেড়েক । তবু, তাই অনেক বলতে হবে। পাঁচিশ ত্ৰিশ জনকে এই সিন্নীই বা খাওয়াতে পারে কজন ? ক’জনের ঘরে ছেলেপিলে বিশেষ বিশেষ তিথিতেও এক টোক দুধ গিলতে পায় ? সিন্নী খাওয়ানো উপলক্ষে রামপাল সকলকে কীৰ্ত্তন গেয়ে শোনায়। অন্য গানও গায়,-প্রেমের গান, বিরহের গান মিলনের গান। শুধু যাত্রা পাঁচালী আর বোষ্টম ভিখারীর গান নয়, রবীন্দ্রনাথের দু’চার খানা গানও রামপাল জানে। সে গান ইথারে স্পন্দিত হয়, প্ৰাসাদ শিখরের আলো ঝলমল কক্ষের বাতায়ন থেকে ফুটপাতের কুণ্ঠরোগীর কাণে ভেসে আসে, স্বামী-শিবের তপস্যার অঙ্গ হিসাবে ঘরে ঘরে কুমারী মেয়ে ডাল-সিদ্ধ হবার অবকাশে যে গান গেয়ে গলা সাধে, গান জানলে কাঠেচের করাতিও আপনা। থেকে সে গান দু’চার খানা শিখে ফ্যালে। দেশী-বিলাতী মেশানো সুরের বদলে হয়তো রামপ্রসাদী সুরে গায়-গানের সুরেতে পরাণখানিরে পাতি পথের পরে,-কিন্তু গায়। উপরের স্তর থেকে এমনিভাবে চুইয়ে চাইয়ে সবকিছু নীচের স্তরে পৌছয়। রামপালের হারমোনিয়ম নেই, বঁায়া তবলা আছে। হারমোনিয়াম ভাড়া করে আনা হয় পাডার গিরি বাড়ীউলির কাছ থেকে, ঝাঁঝালো আওয়াজের হারমোনিয়ম। রামপাল তবলা বাজাতে জানে না, তবলা বাজায় নগেন অথবা বিষ্ট। বিষ্ট্রর হাতটাই বেশী মিঠে, তাকেই প্রথমে সকলে অনুরোধ জানায়, সে যদি নেহাৎ বাজাতে রাজী না হয়, বিনিয়ে বিনিয়ে কেবলি বলে যে আঙ্গুলোর তার বড় ব্যথা, নগেনকে তখন বাজাতে বলা হয়। নগেন যেন বাজাবার জন্য ওৎ পেতে থাকে, প্রত্যাশায় टtडजनांश ঘন ঘন ঠোঁট চাটে আর চোখ মিটমিট করে। ডাকামাত্ৰ উঠে এসে জোকে V8