পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उक्ष & क्ष'क्ष' পরিচয় হইতে বিলম্ব হইল না। জিনিসগুলি নামানো হইলে মেয়েটি কি ভাবিয়া বারান্দার নীচে আগাইয়া আসিল। মধ্যাহ্নের সূর্যমুখীর মত উধ্বমুখী হইয়া বলিল, একবার নীচে আসবেন ? যাই, এখুনি যাচ্ছি। একটু সময় লাগিল। জামাটা গায়ে দিতে হয়, চোখের ও মুখের রাত্রি জাগরণ জনিত ক্লিষ্টতা ধুইয়া ফেলিতে হয়, প্ৰভা চায়ের জল চাপাইয়াছে তাহাকে এখনই ফিরিয়া আসার আশ্বাস জানাইতে হয়। বাহিরে গিয়া হেরম্ব দেখিল মেয়েটি পথ ছাড়িয়া রোয়াকে উঠিয়া আসিয়াছে, দু’পাশে প্রত্যেকটি বাড়ীর জানালা খুলিয়া গিয়াছে, কিষণ মুর্দীর দোকানে ক্রেতাদের মুখ এই দিকেই ফেরানো, পথের কয়েকজন পথিক ও হঠাৎ চলিতে ভুলিয়া গিয়াছে। মেয়েটি চারিদিকে চাহিয়া দেখিতেছিল, মৃদু হাসিয়া বলিল, এও দেখছি আমাদের গায়েরি মতন । মানুষ দেখতে মানুষ ভিড় করে। এতক্ষণ সেও যে ওই কাজই করিতেছিল। হেরম্বের তাহ। মনে পড়িল না। বলিল, সব ছোটলোক। আপনি বরং ভিতবেই চলে আসুন । আমার স্ত্রী মেয়েটি বলিল, আপনার স্ত্রীকে আর বিরক্ত করব না। আপনার কাছেই আমার একটু সাহায্যের প্রার্থনা । আমার ওই চাকরাটাব শবীর যত বড় বুদ্ধি তত কম। তাছাড়া বাজার হাট পথঘাট ও চেনে না। আপনার চাকরকে যদি দয়া করে এক ঘণ্টার জন্য ধার দেন সারাদিনের জন্য চাকরকে ধার দিতে স্বীকার করিয়া হেরম্ব বলিল, আপনাদের এবেলার খাওয়ার ব্যবস্থা আমাদের এখানে হতে পারে না ? মেয়েটি একটু ভাবিল।-না, রান্না আমিই করে নেব। তোলা উনুন কয়লা সব সঙ্গে আছে, অসুবিধা হবে না । হেরম্ব ক্ষুন্ন হইয়া বলিল, জোর করা আমার পক্ষে অশোভন ! আমার স্ত্রীকে আনি সে পীড়াপীড়ি করতে পারবে। মেয়েটি হাসিল, তা তিনি করবেন না। আমার সঙ্গে যে বুড়োমানুষটি আছেন ওর জন্যে বিশেষ কায়দা করে' রাধতে হবে। আমি ভিন্ন সে কায়দা কারো জান নেই। কিন্তু আমরা ক্ষুধাতুর হয়ে আছি, মুড়ি চিড়া সুজি যাহােক কিছু জলখাবার আর একটু দুধ পাঠিয়ে দেন VIRNO