পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

είνη 8 εγεί রাধা পাংশু মুখে বলিল, আমার সেই অভিভাবক। বলিয়া সে দ্রুতপক্সে অন্ধের ঘরের দিকে চলিয়া গেল। হেরম্ব স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল। ওই শীর্ণকায় মুমূর্ষু বৃদ্ধ এমন ভয়ানক শব্দ করিয়া কাশে! কাশি যেন আর থামিতে চায় না। একটা প্ৰকাণ্ড বকযন্ত্রের মধ্যে তোড়ে জল প্ৰবেশ করিবার চেষ্টায় মুহুমুহু থামিয়া থামিয়া গর্জন আরম্ভ করিয়াছে। হেরম্বের মনে হইল আর খানিকক্ষণ এভাবে কাপিলে বুদ্ধের অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গগুলি খসিয়া চতুর্দিকে ছিটকাইয়া পড়িবে। খানিক পরে দম আটকানোর মত একটা বিশ্ৰী আওয়াজ হইয়া কাশি থামিয়া গেল। রাধা ফিরিয়া আসিলে হেরম্ব বলিল, এ তো দেখছি সাংঘাতিক কাশি ? রাধার ফ্যাকাসে মুখে ধীরে ধীরে রক্ত ফিরিয়া আসিতেছিল, মৃদুস্বরে সে বলিল, হঁ্যা, অনেকদিন ধরে’ ভুগছেন। ভুগে ভুগেই ওঁর এমন চেহারা হয়েছে, নইলে বয়স খুব বেশী নয়। মোটে চল্লিশ । হেরম্ব অবাক হইয়া বলিল, কাশির অনুখে মাথার চুল সাদা হয়ে যায় ? তাইতে গিয়েছে দেখছি। জানেন, ওর চুলের দিকে তাকালে আমার ভয় করে। এমন হঠাৎ সব চুল সাদা হয়ে গেল ! তিন চার মাস আগেও সব চুল কালো ছিল। সেই থেকে স্বভাবও বদলে গেছে। কেশে কেশে মরবার দাখিল হয়েছে, তবু তামাক খাওয়া চাই। এমনি পায় না, আজ চাকরের হুকো কন্ধে খুজে নিয়ে কি ক’রে খুজলেন ? তাই ভাবছি। চোখ নষ্ট হবার পর থেকে ওর কতগুলি আশ্চৰ্য ক্ষমতা ७८न्म८छ । উনি আপনার কে হন ? সে তো আপনাকে বলেছি। আমার আত্মীয় । কি রকম আত্মীয় ? পরমাত্মীয়। বলিয়া রাধা হাসিবার চেষ্টা করিল। এ বিষয়ে হেরম্ব আর কোন প্রশ্ন করিল না, গম্ভীর হইয়া বলিল, কাশির পক্ষে এ জায়গাটা খুব উপকারী। মাসখানেকের মধ্যে ওঁর অনেক উপকার হবে। সেই জন্যেই তো এখানে এলাম। ওর বেঁচে থাকা বড় দরকারী, বড় দরকারী। এই বলিয়া রাধা এমন এক প্রকার রহস্যময় দৃষ্টিতে হেরম্বের মুখের পানে চাহিয়া VeR 8 ot)