পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী কইল, খালি এদিক ওদিক তাকাতে লাগল। তোমার বৌকে দেখে ওর লজ্জা পাবার কি আছে ? হেরম্ব হাসিয়া বলিল, বোধ হয় কৌতুক। ওকে দেখে আমার বৌয়ের লজ্জা १७श उठेडि । প্ৰভা মান মুখে বলিল, পাড়ায় যে সব কথা উঠছে কানে গিয়েছে বোধ হয় । হেরম্ব হাসি বন্ধ করিয়া বলিল, পাড়ার অজুহাত না দিয়ে যেদিন মনের কথাটা স্পষ্ট করে’ বলবে সেদিন এ বিষয়ে আলোচনা করব প্ৰভা । কিন্তু তুমি হতাশ হ’য়ে না। একদিক দিয়ে ভগবান "যে তােমায় বঞ্চিত করেছেন সেইটাই বোধ হয়। আর একদিক দিয়ে এবার তোমার কাজে লাগবে। জামা পরাই ছিল, প্রভার বিস্ময়কে উপেক্ষা করিয়া হেরম্ব বাহির হইয়া গেল । চশমাটা সে বদলাইয়াছে এবং এখন সকাল নয়, অপরাহ । তথাপি তাহার চোখে পড়ন্ত সূৰ্যালোক বড় অস্বাভাবিক ঠেকিল। এতকাল অলস বৈচিত্র্যহীন জীবনে সে যেন দেখিতে জনিত না, আজ দেখিতে শিখিয়াছে। রাধা বলিল, আপনাকে আজ চিন্তিত দেখাচ্ছে। হঁ্যা । পাড়ায় নাকি কি সব কথা উঠেছে শুনলাম। আপনি কি মনে করেন আমার আসা যাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত ? তাহার মুখের পানে চাহিয়া রাধা সন্দিগ্ধভাবে মাথা নাড়িল, ঠিক বুঝতে পারছি না। এ আমার কঠিন সমস্যা বিনামূল্যে সুনাম বিলিয়ে দিলে আপনার যে সবটাই ক্ষতি দাড়াবে। আর আপনার ? রাধা করুণভাবে হাসিল, আমার আবার লাভ ক্ষতি ! সে হিসােব চুকিয়ে ফেলেছি। কোথা থেকে এসেছি, কোথায় চলে যাব কেউ তা জানে না, কলঙ্ক কিনতে আমার ভয় কি ? একটু ভাবিয়া নতমুখে বলিল, কলঙ্ক রটলে বরং আমার সাহায্যই হবে। আমি জোর পাব । কথাটা হেঁয়ালির মত শোনাইল, কিন্তু হেরম্বের মনে হইল বিন্দুমাত্ৰ বেমানান নয়। রাধা কবিত্ব করিতে বসে নাই, যে রহস্য নিয়ে সে জীবনে পদাৰ্পণ করিয়াছে তাহাকে অর্থহীন ইঙ্গিতের সাহায্যে ঘনীভূত করিবার ইচ্ছাও রাখে না। বলিবামাত্র বুঝিতে পারার মত বক্তব্য তাহার নয়। রাধা আবার বলিল, আপনি আমায় এমন দ্বিধায় ফেলছেন! দশ বছর ধরে \Rtr