পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুৰ্গা ইতিমধ্যে জল এনে নরেশকে কুলকুচো করিয়েছে, মুখ ধুইয়ে ঘাড়ে মাথায় জল থাপড়ে দিয়ে পাখা হাতে বাতাস করছে। কানে তার যাচ্ছে সব কথাই কিন্তু দ্যাওরের শুশ্ৰষা ছাড়া সব বিষয়ে সে যেন উদাসীন, কারো দিকে তাকাবারও সময় নেই। সুরেশ এতক্ষণ গুম খেয়ে ছিল, মুখ না ফিরিয়ে থেকে থেকে বঁকা দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল ভাই-এর দিকে। কৃষ্ণেন্দু এমন মার মেরেছে যে দু'টো চড়াচাপড় দেবারও তার উপায় নেই, এই আপশোষ গুমরে উঠছিল। তার মনে। হঠাৎ তার ধৈৰ্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়, ঝড়ের বেগে ঘরে ঢুকে সে বার করে নিয়ে আসে মোটা একটা বঁাশের লাঠি, নরেশের সামনে দাড়িয়ে পাগলের মত চীৎকার করে ওঠে, “এই শুয়োর হারামজাদা ! বল কি করেছিস ? সব্বায়ের সামনে বল— কেষ্টবাবু, রেয়াৎ করেছে, আমি তোকে খুন করব । দুৰ্গা ফোস করে ওঠে, “না জেনে না। শুনে তোমার আত চােটপাট কিসের গো ? নিজে কত সাধু। খুন করবে। ভাইকে যে খুন করেছে তাকে খুন করবে যাওনা, বুঝি কেমন মরদ ?” একজন লাঠি ছিনিয়ে নেয়, দু'তিন জন সুরেশকে টেনে নিয়ে যায় দূরে। দুৰ্গা তখনও চেঁচাচ্ছে : ইবার আসুক তোমার কেইবাবু, একবারটি পা দিক উঠোনে, গাল দিয়ে ভূত ছাড়িয়ে দোব। জজ ম্যাজিষ্টর ! মেয়্যা করবে: ছে।নালি, সবটুকু দোষ চাপবে ছেলের ঘাড়ে। দারোগাবাবু! জজ ম্যাজিষ্ট্রর ••• গজ গজ করতে করতে দ্যাওরকে ধরে তুলে দুৰ্গা তাকে ঘরে নিয়ে যায়। রম্ভ সকলকে শুনিয়ে বলে, “তা আমিও বলি, অতি কথায় কাজ কি তোমাদের । যা শুনবার সব শুনবে আজ নয় তো কাল, চাপা তো রাইবে না কিছু, চুপ মেরে যাও না। সবাই এখন ?” চুপ অবশ্য কেউ করে না, সেটা অসম্ভব। রামপাল আবার গান আরম্ভ করে, কিন্তু গান আর জমে না। রামপাল নিজে কিছুক্ষণের মধ্যে মসগুল হয়ে যায় এবং তারি মত ভাববিলাসী কয়েকজন মেয়েপুরুষ মন দিয়ে তার গান LDDSSSiKK DBBBD HH DDS BLB DBBL BDDL S থেকে থেকে এখানে ওখানে চাপা হাসি ধ্বনিত হয়ে ওঠে। কৌতুহল চাপতে না পেরে মেয়েদের মধ্যে কেউ কেউ দুর্গার ঘরের দরজায় গিয়ে উ কি দেয়, কেউ একেবারে ভেতরে গিয়ে বিছানায় বসে, আত্মীয়তা জমাবার চেষ্টা করে । ዓ »