পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांभिक ७क्षांदकी অন্য করাতি আর মিস্ত্রী মজুরদের কাছে তার অস্তিত্ব একটু স্পষ্ট। অনেকে এজন্য তাকে পছন্দ করে না । তার নিস্ক্রিয় নিলিপ্ত ভাবের মধ্যে অনড় অচল। হয়ে বসার ভঙ্গির মধ্যে, মুখ বুজে চিন্তা ভাবনা করার মধ্যে সাধু পণ্ডিত, পূজারী আর বাবুদের সঙ্গে সাদৃশ্যের যেটুকু ইঙ্গিত আছে সেটা এদের সংস্কারকে পীড়ন করে । রামপাল রাগারগি হানাহানি অশ্লীল অলপ, হাসাহাসি আর বাহাদুরী সকলের সঙ্গে সমান তালে করে না বলে তাকে কেমন বেজাত ভেবে এরা বিদ্বেষ অনুভব করে। তবে মাঝে মাঝে ধেনে খেলে রামপাল বেশ ভালরকম মাতামাতি হৈহুল্লোড় করে, বিদ্বেষের ভাবটা সাময়িকভাবে একেবারে উপে যায় এবং পরে আবার ফিরে এলেও জোরালে হতে পায় না । নির্বিবরোধী স্বভাবের জন্য রামপালের প্রতি অনেকের একটু টানিও আছে, যারা নিজেরাই নিরীহ গোবেচারী মানুষ এবং যারা শেষ পৰ্য্যন্ত মানুক না মানুক সব বিষয়ে বুড়োদের পরামর্শ নিতে ও হিতোপদেশ শুনতে চায়, বুড়োদের জ্ঞানী ও গুণী বলে জেনে শ্রদ্ধা করে। রামপালের মধ্যে এর স্থবিরের গুণাবলীর প্রতিফলন অনুভব করে। মাঝে মাঝে কিন্তু অকারণে তার মধ্যে অদ্ভুত একটা অস্থিরতা দেখা দেয়, দেশী মদ খেয়ে হৈ চৈ করার সঙ্গে যার কোন মিল নেই। বড় সে ছটফট করে, কাজ কামাই করে সহরময় ঘুরে বেড়ায়, কখনো কখনো সামান্য কারণে মারামারি পর্য্যন্ত করে বসে। তবে দু’চার দিনেই এভাবটা তার কেটে যায়। উমাপদ কারখানার মালিক লোকনাথের ভাগ্নে । বড়লোক মামাটামার LBD BDBD BBDLLDBB BBDDDDDB BB DBDD DB SS S BDBBDD DDBBD সমস্ত কারখানা জুড়ে জোরালো অসন্তোষ গুমরে বাড়ছিল, একদিন সে নাথু করাতিকে মেরে বসায় হাঙ্গামা বেধে গেল । কারাতির স্বভাবতই বদমেজাজী আর অপমান-কাতর হয় । বিশেষত দোষ না করে অন্যায় গালাগালি শুনতে তাদের বেশী লাগে। বেমাপে চিরে দামী কাঠ নষ্ট করেছে বলে উমাপদ তাকে গাল দিতে আরম্ভ করায় নাথুর সাইল না। ‘খপর্দার বাবু, মুখ সামলে ।” পায়ের কাছে কাঠের একটা গেজ পড়ে ছিল। উমাপদ সেটা তুলে ছাডে মাৱল। লাগিল নাথুর মাথার পাশে। রক্তারক্তি হয়ে গেল। উমাপদ সেদিন হয়তো খুন হয়ে যেত, তাকে বঁাচালো রামপাল নিজের দেহ দিয়ে তাকে আড়াল করে সে হঁকতে লাগল। : ‘খুন হয়ে у о