পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#ဓါး၊ সে বুঝতে পারে, আত্মহারা হয়ে মমতা সতর্কতা ভুলে গিয়েছিল। এখানকার প্ৰায় অসহনীয় মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যেও এক সিনিক ফাজিল বন্ধুর বিশেষ প্রিয় একটি তামাসার কথা হীরেনের মনে পড়ে যায় ; সিফিলিস আর প্ৰেম গোপন থাকে না। একদিন হাসি পেত কথাটা শুনে। আজ শব্দগুলি যেন ভারি ধারালো শাবল হয়ে মনের মধ্যে দাপাদাপি করে বেড়ায়, খুড়ে ফেলতে থাকে VSS a “এমন খারাপ হয়ে গেছে মনটা । কান্না পাচ্ছে সত্যি।’ হীরেন কথা বলে না। এবার সচেতন হয়ে ভাল করে তার দিকে তাকিয়ে মমতা জিজ্ঞেস করে, “কি হয়েছে তোমার ?” “মাথা ধরেছে ।” ‘অ্যাসপিরিন খাবে ? “খেয়েছি।” DBBS BDDS 0LLSDD DDYDK DBDBDS KzS DBBDB S BDB DDS “আরিফকে তুমি পছন্দ কর না।” “সেটা কি আমার অপরাধ ? তোমার সঙ্গে ওর ছেলেবেলা থেকে ভাব, ভালবাসা। আমার সঙ্গে দুদিনের পরিচয়।” “আমার সঙ্গেও তো তাই, আমায় পছন্দ হল কি করে তোমার ?” “তোমার কথা ভিন্ন ।” কথা বলতে তার কষ্ট হচ্ছিল। মমতা উঠে এসে আলগোছে ইজিচেয়ারের হাতায় বসে হীরেনের একটি হাত দু'হাতের মধ্যে নিয়ে বলে, “তা নয়। আরিফকে পছন্দ কর না কেন বলব ? ওর সম্বন্ধে তোমার ভীষণ জেলাসি fea ’ কথায় ব্যবহারে কি করে এত সহজ, এত অন্তরঙ্গভাব বজায় রেখে চলেছে। মমতা ? আরিফের বুক থেকে খসে তার কাছে এসে আপন হওয়া কি এতই পুরাণো আর অভ্যন্ত হয়ে গিয়েছে মমতাৱ ? কিন্তু তাই বা কি করে হয় ? এতকাল প্ৰতিদিন গ্রেপ্তার হয়ে হাজতে যাবার পথে আরিফ তো তার সঙ্গে দেখা করে যেতে আসেনি। আপনি আরিফের বেদনায় কাবু হয়ে অন্ততঃ কিছু সময়ের জন্য স্বামীকে পরিহার করে তার কাছ থেকে দূরে থাকাই তো স্বাভাবিক ছিল মমতার পক্ষে, আরিফের জন্য বুকভরা দুঃখ নিয়ে তার কাছে