পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ধৈৰ্য্যের সীমা আছে ! কারণ জানিবার অধিকার আছে । দিগম্বরীর কথা ভাবে হীরেন, শশাঙ্কের মত স্বামীকেও যে দেবতার মত পূজা করে। তার বাড়ীর বেীদের কথা ভাবে হীরেন, যাদের স্বামী-অন্ত প্ৰাণ । অঙ্গ স্পর্শ করতে দেওয়া দূরে থাক, প্ৰেমালু চোখে পরপুরুষ তাকালে পৰ্যন্ত যারা ঘৃণাভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়। মমতার মান বিবৰ্ণ মুখ আর সকাতর চোখে কঠিন আত্মনিষ্ঠার, অনমনীয় আত্মমৰ্যাদার সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি দেখে জালােভর উদ্ধত বেদনার সঙ্গে হীরেনের মনে হয়, সে যদি ওদের মত হত ! শেষে একদিন রাত এগারটার সময় হীরেন মদ খেয়ে বাড়ী ফিরে আসে। কাজের ঘরে গিয়ে শূন্য বিছানায় শোয়ার বদলে শোয়ার ঘরে যায়। মমতা বলে, “তুমি ড্রিঙ্ক করেছ।” “করেছি।” '6कम ?' “তোমার জন্য ।” “তার মানে । “মানেই তো বলতে এলাম। স্ত্রী যদি হতে না পারবে, আমার স্ত্রী হয়েছিলে কেন ? আমি কি তোমার ক্রীতদাস ?” ‘হেঁয়ালি কোরো না । আজি ঘুমোও, যা বলবার কাল বোলো ৷ এসো। শোবে এসো। ও আলোটা জেলেছ কেন ? নিভিয়ে দিয়ে এসো। আমি তোমায় ঘুমপাড়িয়ে দিচ্ছি।” মমতার খোলা কঁাধ, আধ্য ঢাকা বুক, কোমরের বঁাকা ভাজ দেখে হীরেন চোখ বোজে। ভাবে, এত মদ খেয়েও একটু বেপরোয়া হবার সাহস তার হল না। মমতার কাছে । নেশা তিতে হয়ে যায়, জীবন বিষাক্ত । “এখানে থাকতে আমার ভাল লাগছে না মমু। কাল আমরা ওবাড়ীতে চলে যাব। বাবাকে দুঃখ দিয়ে, সবার মনে কষ্ট দিয়ে-’ মমতা চুপ করে থাকে। “এসব তোমায় ছাড়তে হবে মমু।” “কোন সব ?” ‘এই যার তার সঙ্গে মেশা, যেখানে সেখানে যাওয়া। মমু, আমার চেয়ে এসব কি তোমার কাছে বড়, আমি তোমায় এত ভালবাসি ?” tre