পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টানে, মেয়েপুরুষে ভাত বা মহুয়ার মদ খায় আর আগুন জেলে মাদল বাজিয়ে DBB0 BDDYDDD DBD uBDuB DBBDB BB DB DBDB BB DDD D DD হিংসাদ্বেষহীন নিৰ্ভয় নিশ্চিন্ত নির্লোেভ শান্তিপূর্ণ জীবন কাটায়। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আছে ব্যক্তিগত সম্পদের বোধ নেই, ভেদাভেদ বোঝে না । দলের দলেরই দান, দলের ইচ্ছায় সে প্রধান, অনিচ্ছায় নয়। মেয়ের স্বাধীন, সমান, প্রধান সম্মানীয়া-সভ্য জগতের স্বাধিকারচু্যতা সমস্ত নারী যখন পরাধীন পণ্যা চেরা তক্তার মেঝে ও দেয়ালের উপর খড়ের পাতলা ছাউনী দেওয়া চারকোণ ঘরটির সামনে ক্যাম্প-চেয়ারে বসে হেরম্ব চক্ৰবৰ্ত্তী সরু একটা চুরুট টানতে টানতে কুঁচকে বনের দিকে চেয়েছিল। তার নিজের চোখের নেশার কুয়াশায় দৃষ্টি একটু ঝাপসা হয়ে গেছে। দিনে সে কখনো মদ ছোয় না, আজ মনটা বড় বেশী বিগড়ে থাকায় অনেক দিনের অভ্যাসটাও বিগড়ে (Cg পিঠে বঁাধা শিশুকে সামনে ঘুরিয়ে এনে তার মুখে মাই গুজে দিয়ে। সঁওতাল রমণী সামনে দিয়ে চলে যায়, হেরম্বের নেশায় টনটনে কল্পনা দৃষ্টির সামনে ভেসে আসে তার সাত ছেলের মা আগুনের মত উজ্জ্বলবর্ণ সুন্দরী স্ত্রীর আবছা মৃতি। তার দশ বছরের বিয়ে করা বেী, এত দিনের এত শান্ত, এত ভাল, এত কোমল বেী, হঠাৎ তার সঙ্গে এমন বেয়াদবি সুরু করেছে যে মনটা খি চড়ে গিয়েছে হেরম্বের । সতীরাণী যে কি করে এমন অবাধ্য, এত শক্ত হল হেরম্ব কল্পনাও করতে পারে না । পাচ ছ’মাস দেখা সাক্ষাৎ ছিল না, তারপর দেখা হবার প্রথম দিন থেকে গত পনের ষোল দিন ধরে একটানা একগুয়ে অবাধ্যতা ! আষাঢ়ের প্রথমে ভারি মাসে সতীরাণী প্রসব হতে এসেছিল পচেটদলে তার বাপের বাড়ীতে, তখন থেকে হেরম্ব বনখালির কণ্টাক্ট আর ট্ৰেডিং সিণ্ডিকেটের সঙ্গে মামলা নিয়ে ব্যস্ত ও বিব্রত হয়েছিল, একদিনের জন্য পচেটদলে আসতে পারে নি, কিন্তু নিয়মিত টাকা পাঠিয়েছে সতীরাণী আর শ্বশুরের নামে । সতীরাণীকে বাপের বাড়ী পাঠালেই তার বাবা মেয়ে আর নাতি নাতনীর জন্য যত খরচ হওয়া উচিত তার অনেক বেশী টাকা বরাবর নানা ছলে তার কাছ থেকে আদায় করেন। টাকা সে পাঠিয়ে দেয় তৎক্ষণাৎ, মনে মনে শুধু একটু হাসে পঞ্চাশ পচাত্তরটা টাকা ফাকি দিয়ে নেবার জন্য a