পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোথায় লুকিয়ে আছে সেই অতল গভীর ভয়ানক রহস্য দেখা শেষ হলেই যার স্বরূপ সে নিজেও আর মনে করতে পারে না । শেষে একদিন কাছে টানা মাত্র অক্ষুদ্ট শব্দ করে রাধা চোখ বুজে অচেতন হয়ে গিয়েছিল, বুকে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ স্পন্দন অনুভব করতে না পেরে হেরম্বের মনে হয়েছিল। সে বুঝি মরেই গিয়েছে। পরদিন হেরম্ব জোর পালিয়ে গিয়েছিল তার বনখালির র্তাবুতে। rinn আসবাবপত্র ইতিমধ্যেই কিছু বেচা হয়ে গিয়েছিল, বাকী সব তার বাড়ীতে পাঠাবার ব্যবস্থা হয়েছিল। ভারতের ওপর ভার ছিল ভেলায় করে রাধাকে জীবন সমুদ্রে ভাসিয়ে দেবার অর্থাৎ শহরের বিশেষ কোন qकथामा बन्न कि কবে কিছু জিনিষপত্র আর টাকা দিয়ে তাকে ফেলে পালাবার ব্যবস্থা করা । কয়েকদিন পরে রাধাকে সঙ্গে নিয়ে ভরত একেবারে বনথালির তঁবুতে উপস্থিত হওয়ায় তাই বড় রাগ হয়েছিল । ‘ওকে আবার নিয়ে এলি যে শৃয়ার ?” “একটা কথা আছে বাৰু।” ‘ওরে ব্যাটা ! ওরে শালা ! ওরে হারামজাদা । ‘বাবু, আপনি যদি অনুমতি করেন, ওকে আমি বিয়ে করব।” বিয়ে করবে। ভারতের হাতেই রাধাকে হেরম্ব ছেড়ে দিয়ে এসেছিল, সখ হয়ে থাকলে যতদিন ইচ্ছা রাধাকে ভোগদখল করার কোন বাধাই ভারতের ছিল না, কিন্তু তাতে ভরতের মন ওঠে নি। হেরম্বের এই উচ্ছিষ্ট মেয়েটিকে ভরত যথারীতি মন্ত্র পড়ে বিয়ে করবে। বেী করে নিয়ে যাবে দেশের বাড়ীতে তার মা বোনের কাছে, সংসার পাতবে ওকে নিয়ে । কত পাগল যে থাকে সংসারে । } রাধার সৎ মা ও ভাইদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ভরত রাধাকে বাড়ীতে } রেখে এসেছিল। কয়েকদিন পরে দেশের গা থেকে আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এসে যথারীতি রাধাকে বিয়ে করেছিল ; ভোজ খাইয়েছিল গাঁ৷ শুদ্ধ লোককে। বিয়ের জন্য হেরম্ব তাকে টাকা দিয়েছিল পাঁচশো। : রাধার নাকি আবার ছেলেপিলে হবে । ক’মাস আগে মার চিঠিতে খবর পেয়ে ভরত এমন ব্যস্ত হয়ে ক’দিনের ছুটি নিয়ে বৌকে দেখতে দেশে ছুটেছিল ষে মনে মনে হাসি পেয়েছিল হেরম্বের । ,