পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a टैिकप्रैिकि যে বন্ধুরা আসে তাদেরও তেমনি মনের কথা বলে। জ্যোতিষ-বচনের মত মনের কথা বলার কথা তার প্রায় মুখস্থ হয়ে গেছে। এ যুগের মানুষের অবিশ্বাসপ্রবণতা দিয়ে আরম্ভ করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও যে কেউ কিছু বিশ্বাস করতে চায় না, এ পর্যন্ত আসতে আসতে জ্যোতিষার্ণবের মুখ বড় বিমর্ষ হয়ে যায়। গভীর আর্ত বিষাদের ছাপ। তাছাড়া গলাও কঁপে। ফরাসে বা চেয়ারে যেখানেই তার শ্রোতা বসে থাক, কথার চেয়ে কথার সুর আর জ্যোতিষার্ণবের চেয়ে তার মুখের ভাব শ্রোতাকে বিচলিত করে বেশী। জ্যোতিষার্ণবের ভণ্ডামিতে আর যেন বিশ্বাস থাকে না, অন্ততঃ তখনকার মত । “প্ৰমাণ ? বিশ্বাসের জন্য প্ৰমাণ চাই ? আমার নিজের জীবনেই কত বড় বড় প্ৰমাণ ঘটেছে। এই ত সেদিন আমার স্ত্রী মারা গেলেন, আমি কি জানতাম না। তিনি ওই দিন ওই সময় মারা যাবেন ? “জানতেন ?” গণনালয়ের টিকটিকিটা সব সময় নিজেকে প্ৰকাশ করে রাখে। হস্তরেখার প্ৰকাণ্ড ম্যাপ, রাশিচক্র, বর্ষচক্ৰ, পতাকীচক্র, যোগিনীচক্রের ছবি, সুকেশিনীর ছবিযুক্ত কেশতৈলের দেয়ালপঞ্জী-বিজ্ঞাপন, দেয়ালে বসানো তাক, জানালার চতুষ্কোণ গহবর, ফাকা দেয়াল, ছাদ, কড়িবারগার আড়াল, সমস্ত জায়গা পাতি পাতি করে খুজে তাকে আবিষ্কার করতে হয় না, এদিক ওদিক একটু তাকালেই নজরে পড়ে। জ্যোতিষার্ণব খানিকক্ষণ আনমনে তাকিয়ে থাকে টিকটিকিটার দিকে, তার পর মাথা হেলিয়ে বলে, “প্ৰথমে জানতাম না। নিজের লোকের মৃত্যুর দিন গণনা করতে নেই, মানুষের মন ত, মন বিচলিত হয়ে পড়ে । সেদিন সকালবেলা হল কি, তামাসা করে আমায় বললেন, আমি মরে গেলে তোমার কি উপায় হবে ? মানে, সংসার ত এক রকম চালাতেন। তিনি, তাই হঠাৎ পরিহাস করে বললেন আর কি যে, তিনি যদি মরে যান এ সব কাজকর্মই বা কে করবে, ছেলেমেয়ে মানুষই বা কে করবে। যেই বললেন কথাটা, সঙ্গে সঙ্গে একটা টিকটিকি ডেকে “টিকটিকি ?” ‘হঁ্যা, টিকটিকি । মনে কেমন খটকা বাধল। হস্তরেখা বিচার করে ওঁর BDD BDBuBB BDDDS S S BBB DDD S LBDD DBBDBDS BDDBD DD LLBBDBD জানতাম, তবুজিজ্ঞেস করলাম। তারপর বললাম, তোমার কোষ্ঠীটি বার করে। o tf yotto o