পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV রক্ত নোনিত বেঞ্চে শুইয়ে দিয়েছিল। ছেলেব মুখের দিকে এক নজর তাকিয়ে কজিটা কয়েক মুহূর্তের জন্য হাতের মুঠোয় নিয়ে ডাক্তার দাশ বলে, বেশ বুদ্ধি আপনার ! ছেলেটাকে উছলে দিয়ে ঘায়েল কবে, মরাবি দায়টা ঘাড়ে চাপাচ্ছেন আমার ! শিবশঙ্কর বললে, ছি, দিশেহাবা হ’য়ে না। বাবা । ছেলে কি তোমার কারো পরামর্শে ঘায়েল হতে গিয়েছিল ? ডাক্তার মানুষ বিচলিত হ’য়ে না। বঁাচাবার চেষ্টা তো কব ছেলেটাকে, তাবপর না বঁাচলে আর করা কি ! ডাক্তার দাশ বলে, এসে দিকি তোমাদের কার কি হয়েছে একে একে দেখি । নিজে নিজে শার্টটা খুলতে পারবে না। নবীন ? नदीन भांथों नांgg । : নাঃ, হাতটা নাডিতে পারছি না। শিবশঙ্কর ব্যাকুলভাবে বলে, নিজের ছেলেটার দিকে আগে তাকাও বাবা । এই কি রাগ করাব সময় ? সবাই মেতেছে-তোমার ছেলের দোষটা কি বলা ! দোতলার বারান্দায় দাডিয়ে দেখলাম ত সব-বাপেব বয়সে এমন কাণ্ড Cyrff i ডাক্তার দাশ শিবশঙ্কবের কথা কানেও তোলে না, মুখ ফিরিয়ে একবার তাকিয়েও দ্যাখে না । তুলে ব্যাণ্ডেজ ওষুধপত্র ইত্যাদি চটপট গুছিয়ে নিয়ে সব চেয়ে ছোট গণেশকে প্ৰথমে ধরে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দেয় । শিবশঙ্কর প্রায় আর্তনাদ করে ওঠে, ছেলেটার দিকে তাকাবে না ! দেরি হলে ও যে মরে যাবে ! ঃ মরে যাবে ? ও তা আগেই মরে গেছে। সকলে হতভম্ব হয়ে যায়। শিবশঙ্কর বিহািবলের মত বলে, আগেই মরে গেছে ? জ্যান্ত ছেলেটাকে নিয়ে ছুটে এলাম, আগেই মরে গেছে কি রকম । ঃ আনতে আনতে মাবা গেছে। পরীক্ষা করলাম দেখলেন না ? শিবশঙ্কর খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বলে, রক্ত চুইয়ে পড়ছে কেন তবে ? ডাক্তার দাশ একমনে দ্রুতগতিতে গণেশের ক্ষতটা বঁধতে বঁধতে বলে, মরার পরেও কিছুক্ষণ রক্ত চুইয়ে পডে। fo org O