পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৭৪

शैनेि আর কেহ কঁাদিতেছে না দেখিয়া পিসীমা একটু পরে আত্মসম্বয়ণ করিলেন। তখন পশুপতিয় স্ত্রী পরিমল বলিল, কি চেহারাই তোমার হয়েছে। ঠাকুরপো । গণপতি গলা সাফ করিয়া মৃদু একটু হাসিয়া বিনয়ের সঙ্গে বলিল, আর c5&isi. . . . . . যার জীবন যাইতে বসিয়াছিল, চেহারা দিয়া সে কি করিবে-এই কথাটাই ‘গণপতি এমনিভাবে বলিতে চাহিয়াছিল ; কিন্তু শোনাইল অন্যরকম, মনে হইল, বৌদির স্নেহপূর্ণ উৎকণ্ঠার জবাবে সে যেন ভারী রূঢ় একটা ভদ্রতা করিয়াছে। গণপতিও হঠাৎ তাহা খেয়াল করিয়া মনে মনে অবাক হইয়া গেল। এমন শোনাইল কেন কথাটা ? রোগ হইয়া যার জীবন যাইতে বসে, সে ভাল হইয়া উঠিলে এমনিভাবে যখন কেহ তাহার চেহারা সম্বন্ধে উৎকণ্ঠা প্ৰকাশ করে, তখন অবিকল এমনিভাবেই ত জবাব দিতে হয়! চেহারা কেন খারাপ হইয়াছে, উভয়পক্ষেরই যখন তাহা জানা থাকে, চেহারা সম্বন্ধে এই তা তখন বলাবলির রীতি ! অথচ আজ এই কথোপকথন তার এতগুলি আপনার জনের কানে গিয়া আঘাত করিয়াছে। কারণটা গণপতি যেন বুঝিতে পারিল, বোগে যে রোগ হয়, চেহারা খারাপ হওয়ার অধিকার তাহার আছে, সেটা তার দোষ নয়। কিন্তু খুনের দায়ে জেলে গিয়া রোগ হইয়া আসিবার অধিকার এ জগতে কারো তা নাই-সে ত পাপের ফল, অন্যায়ের প্রতিক্রিয়া তার দুর্বল দেহ ও পাংশু মুখ যে শুধু এই কথাটাই ঘোষণা করিতেছে,-অতি লজ্জাকর একটা খুনের দায়ে সে পুলিসের হাতে ধরা পড়িয়াছিল। মাথাটা ঘুরিতেছিল, গণপতি একবার বিহবিলের মত সকলের মুখের দিকে চাহিয়া দেখিল । এতক্ষণে তাহার চোখ পড়িল রামার দিকে। আর সকলে তাহার চারিদিকে ভিড় করিয়া আসিয়া দাডাইয়াছে। রমা। কিন্তু কাছে আসে নাই, পাশের লাইব্রেরি ঘরে ঢুকিবার দরজাটার আডালে সে পাথরের মূর্তির মত স্তন্ধ BDDB DBDDSYiBBD DBDBD SDD BBB DDDD DDBS DBDBBDB ব্যবধানটা যেন ক্রমেই বাড়িতে লাগিল, তারপর লুপ্ত হইয়া গেল অন্ধকারে। বাড়ি ফিরিয়া পরিমলের সঙ্গে একটা কথা বলিয়াই গণপতি যে মূৰ্ছিত হইয়া পড়িয়া গেল-এতে কারো অবাক হওয়ার কারণ ছিল না । আহা, প্ৰায় ছমাস ধরিয়া বেচারা কিরকম সহ কারিয়াছে ! কারাগারের পাষাণ-প্ৰাচীরের অন্তরালে নিজের জীবন লইয়া ভাগ্যের লটারি খেলার অনিশ্চিত ফলাফলের প্রতীক্ষায় of V vertitect o