পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in দিবারাত্রির কাব্য SSS তেজি হিংসাব বশে সুপ্রিয়াকে ছাদ থেকে ঠেলে দিতে চেয়ে, অশোক কি তাব আল সুপ্রিয়ার মধ্যে পবম সহিষ্ণুতা এনে দিয়েছে ? তাই যদি না হয়,-সুপ্রিয়ার প্রশান্ত মুখের দিকে চেয়ে হেব্বস্ব মনে মনে তার এই চিন্তাকে ভাষায় উচ্চারণ করে, --সুপ্রিযার মুখের আলো নিবে যাবার কথা। তার শেষ কথায় সুপ্রিয়া তো কাদত। হেবম্বের সবচেয়ে বিস্ময় বোধ হয় সুপ্রিয়ার দীর্ঘ নীরবতায়। নিরিবিলিতে কথা বলতে এসে তার কথা যেন ইতিমধ্যেই ফুরিয়ে গিয়েছে। বেলা শেষ হয়ে আসে, তবু সুপ্রিয়া কিছু বলে না। এই নীরবতা যে রাগ অথবা অভিমানের লক্ষণ নয় তাও সহজেই বোঝা যায়—সুপ্রিয়াব মুখে কোনো অভিব্যঞ্জনা নেই বলে শুধু নয়, সবে সরে অতি নিকটে এসে তার আধা-অন্যমনস্ক বসবার ভঙ্গিতে । খোলা চুল সে আব বঁধেনি, আচল জড়িয়ে গলার সঙ্গে বেঁধে ফেলেছে, অনাবৃত মাথায় শুধু কয়েকটি আলগা চুল বাতাসে উড়ছে। হেরম্বের জামার যেটুকু বালিতে বিছানো হয়ে আছে তাতে সে পেতেছে হাত, সে হাতে দেহের উধ্বাংশের ভর রেখে হাঁটু মুড়ে কান্ত হয়ে বসেছে। সে যেন হেবঙ্গলকে উঠতে দেবে না, জামা ধবে বসিয়ে রাখবে। অথবা বৃন্তচু্যত ফুলের মতো হেরম্বেব কোলে ঝরে পড়ার জন্য সে শুধু হাতটির অবশ্য হওযাব প্রতীক্ষা করছে। এখন একটু চেষ্টা করলেই হেরম্ব আনন্দকে ভুলে যেতে পারে। ফেননন্দিতা সাগরকুলে জনহীন দিব্যবসানের বৈরাগ্যকে একটু প্রশ্ৰয় দেওয়া, সরল মনে একবার স্মরণ কবা পার্শ্ববর্তিনীক জীবনেতিহাস। সে তো কঠিন নয়। ১৩ দিনের কত ক্ষুধা ও পিপাসা, কত স্বপ্ন ও সংকল্প সঞ্চয় করে সুপ্রিয়া আজি এমন শিথিল ভঙ্গিতে এত কাছে বসেছে সে ছাড়া আব্ব করে তা স্মবাণীব্য স নিজেকে হেরম্বেব দুর্বল 3 5 TF 2 || সুপ্রিয়া হঠাৎ মৃদু হেসে বলল, বাডিতে এখন আমার খোজ পড়েছে । হেত্বমূল বলল, এবার ওঠা যাক । এখনি ? আগে সন্ধ্যা হোক, রাত্ৰি হোক, তখন যদি উঠি তো উঠিব } হঁ্যা। সারাবাত নাও উঠতে পারি, কিছু ঠিক নেই। বেশ বালির বিছানা পাতা আছে। বসতে কষ্ট হলে আপনি শুতে পাববেন। বৃষ্টি নামলে কষ্ট হবে। হেবঙ্গ অভিভূত হয়ে বলল, তারপব কী হবে ? এখান থেকে স্টেশানে গিযে গাড়িতে উঠিব। আপনাব কলেজ অনেকদিন খুলে গেছে! আর বেশি। কামাই কবলে চাকবি যাবে। হের মূল কথা বলতে পাবল না। সুপ্রিয়া বলল, চাকবি গেলে চলবে না, আমাদেব টাকাব দবকার হবে। ছোটাে বাডিতে আমি থাকতে পাবিব না। সাত-আটখানা ঘর আব্ব খুব বড়ো খোলা ছাদ থাকা চাই। সুপ্রিয়াব এই অন্তিম আবেদন । ভীরু হেরম্ব পকেট হাতড়ে চুবুট বাব কবে। অনেকক্ষণ সময নিযে চুবুট ধবিযে বলল, টিকিটেব টাকা আনতে একবার কিন্তু আশ্রমে যেতে হবে, সুপ্রিখঃ। সমস্ত রাত্রি সমুদ্রেব ধারে কাটিযে পরদিন সকালে তাদেব কলকাতা চলে যাবাব মতো বৃহৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণেব সঙেগ টিকিটের টাকার জন্য চিন্তিত হওযা এত বেশি তুচ্ছ যে, হেব্বস্ব ভাবতেও পারল না, সুপ্রিয়া বুঝবে না। এ শুধু তার সময়োচিত গভীর পরিহাস, সুপ্রিযাব প্রস্তাবকে এমনিভাবে দুর্বল হেরম্বের হেসে উড়িয়ে দেওয়া। সুপ্রিয়া কিন্তু সত্যসত্যই তার এই কথাকে স্বীকারোক্তি বলে ধরে নিল । তার দবকার নেই, আমার গায়ে গহনা আছে। भनेिक >भ-२>