পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in রিশিষ্ট (?")> চাপরাসির কাছে খবব শুনিয়া দিদি ভাবিয়া আকুল। সে তখন মাতাজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়া সম্বন্ধে সরাসীর কাছে পত্র লিখিয়া পঠাইবে বলিয়া রাখিয়া দিয়াছে। পত্র খুলিয়া পুনশ্চ দিয়া লিখিল ‘হেরম্ব এখান থেকে কলকাতা চলে যাবে জানতে, তা না গিযে সে মাতাজীব সঙ্গে সন্ন্যাসী হয়ে পুরী চলে গেছে। বো। আল খােকা মারা যাবাব পাব থেকে ও কিবকম হয়ে গিয়েছিল সেসব তোমায় বলেছি। কিন্তু ও যে এমন করে সংসার ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়ে যাবে একথা স্বপ্নেও ভাবি নি। এমন [ ভাগ্য? ] কবে জন্মেছিলাম যে আমার একটি মাত্র ভাই... ." পত্র পাইযা মনে মনে সবসীর সে কি বাগ। বটো? সন্ন্যাসী হইয়া যাওযা হইল। আর এখানে বাবু দুটা দিন থাকিতে পাবিলেন না। সেদিন সে গবুব দুধ ও জ্বাল দিল না, অশোককে ভাল কবিধা খাওয়াইলও না। পডিয়া পডিয়া খুব একচেটি কাদিল । অশোক বুলিল, “আরো । কঁ্যািদ কেন ..." "এখানে থাকলে আমি মবে যাব।” “কোথায় যাবে?” ‘পুবী। ‘পুৰী কি জন্য ৮ ‘আমি সমুদ্র দেখব।” অশোক চিন্তিত হইযা বলিল, “এখন কি ছুটি পাব ? মাসকানেক পলে গেলে হবে না 7’ সবাসী বিছানায় উঠিয়া বসিল। বিবাহেব পােব আজ প্রথম তাতার মেজাজ খাবাপ হত ইয়াছে। ‘কাল যদি আমােয তুমি পুৰী না নিযে যাও—* পলদিন হইল না, ওবি পাবেব দিন যাওয়া হইল। একদিন দেবী কবিতেও সবসীব ভয হইতেছিল। কিন্তু কি কবে, অশোকের চাকৰী যাওযাটাও কম ভযেব কথা নয়। পুণী পৌছিযা সালসী, কিন্তু মাতাজীব ওখানে গিয়া উপস্থিত হইতে পাবিল না, একটা খববও পাঠাইতে পাবিল না। এতদূব আসিমা এইটুকু যাইতে তাহার লঙজা কবিতে লাগিল। মেযেমানুষ কি অত সস্ত্য কবিতে পাবে নিজেকে ৮ সবসী সকল বিকাল মন্দিলে হত্যা দিযা বহিনী, মন্দিবে না আসিয়া হেৰম্ব নাইবে কোথায় ? কিন্তু আকাশ ভাঙ্গিয়া বৃষ্টিই শুধু আসে, হেব্বস্ব আসে না। বৃষ্টিব মধ্যে গাড়ী কবিয সবসী দুইকেল মন্দিবে আসে, প্রবেশপথেরব দিকে চাহিত্যা চুপ কবিযা বসিয়া থাকে, আব্ব মনে মনে বর্যাকে অভিশাপ দেয়। দেধ৩ান দিকে পিছন ফিবিয লেলা কাটাইতে সবসী ভয় পায না। দুইদিকেই তাৰ জ্বালা। হেবম্বেব দেখা মেলে না, অশোকের কষ্টের সীমা থাকে না। একদিন সবসীব সঙ্গে মন্দিবে আসিযাই অশোকোব সর্দিজুব হইযা গিয়াছে, সে না পায একটি সেবাযত্ন, না পায় সমযমত পথ্য। অশোক বাউীতে শুইযা থাকে, মন্দিবে তাব জন্য সবসীব ম’ কাদে ! তিনটা দিন তাব বড় দুঃখেই কাটিয়াছে। গাড়ী চলিতে আরম্ভ করিলে সবসী বলিল, “কই, সন্ন্যাসী হবাব তো কোন লক্ষণ দেখছি না।” ‘কে বললে আমি সয়্যাসী হয়েছি?” “দিদি কেঁদে কেটে আমায় এই এত বড় এক চিঠি লিখেছেন। আপনি নাকি সন্ন্যাসী হয়ে কালকেতাব বদলে পুলী চলে এসেছেন! “সন্ন্যাসী হতে যাব কোন দুঃখে ? আমি এখানে বেড়াতে এসেছি। “বোনকে একখানা চিঠিও তো লিখতে হয় ?” আনন্দকে ভালবাসিবার হিড়িকে হেবম্বের নাওযা খাওয়া ছিম্পন্ন না, বোনকে চিঠি লেখা! কিন্তু কত বড় অন্যায় হইয়া গিয়াছে কাজটা গ হেরম্ব লজ্জিত হইয়া বলিল, “লিখি স্টিল করে হয়ে ওঠে নি। এই ব্ল’গ, লিখব।” “আব্ব লিখেছেন। আমি আপনাব নাম দিয়ে টেলিগ্রাম পাঠিযে দিয়েছি যে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন, বিকালের গাড়ীতে কলকাতা ফিরছেন। বাবা, ওইটুকু ইংরেজীতে লিখতে একেবারে গলদঘৰ্ম্ম। বিদ্যো কতা! ভুল যে কত করেছি।--” লিখিতে গলদঘৰ্ম্মই হােক আর যাই হােক সে যে ইংরাজী জানে হেরম্বকে এ খববটা দিতে সরসীর বেশ লাগিতেছিল, খুব খানিকটা হাসিযা নিয়া সে বলিতে লাগিল, “আপনার নামটাই ভুল হয়ে গেছে! হেরম্বতে এইচ ই আবি এ এম বি এ হতে তো? আমি লিখেছি। এইচ এ-হরম্ব হয়ে গেছে!”