পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/২৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
১৪

মেঠাই কিম্বা ইঁদুরের চিহ্নমাত্রও নেই। এমন সময় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজা এলেন।

 আগেই রাজা ভাঁড়ারীর মুখে সব শুনেছিলেন। রাজাকে দেখে রাখাল বলে উঠলে, “তাহ’লে শ্বশুরমশাই, এইবার সম্প্রদানটা ক’রে ফেলুন।”

 রাজা বললেন, “আর একটু বাকী আছে। এই যে ঝোলা দেখছ, এটা হ’চ্ছে মিথ্যার ঝুলি। এক ঘণ্টার মধ্যে মিথ্যা কথা ব’লে এই ঝোলা বোঝাই ক’রে দিতে হবে, তা হ’লেই রাজকন্যা তোমার।

 “এযে চার নম্বরের ফরমাস। এরকম তো কথা ছিলনা।”

 মন্ত্রী বললেন “এটা হ’চ্ছে হুকুমের লেজুড়। লেগে যাও।”

 হুকুমের লেজুড়! রাজরাজড়ার সবই অদ্ভুত! গরীবের বাছা বয়সও বেশী নয়, এত মিথ্যা কথা কোত্থেকে জোটাবো? যা হোক দেখা যাক এবার বাঁশী কি করে?” জামা ও কাপড় হাতড়িয়ে রাখাল দেখে বাঁশীও নেই! “সর্ব্বনাশ! এইবার খেয়েছে! শেষে কূলের কাছে এসে নৌকা ডুবল!”

 “ভাবছ কিহে, ছোকরা? লেগে যাও। পাঁচ মিনিট তো হ’য়ে গেল!”

 রাখাল নানারকম মিছে কথা বলতে সুরু করল। ঝুলি আর ভরে না! আধ ঘণ্টা হ’য়ে গেল, ঝুলির সিকিও ভরল না।