পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৪৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
৩৫

 সেদিন দরবার। দেশের গণ্যমান্ত লোকজনদের নিমন্ত্রণ হয়েছে। মিকাডো মন্ত্রী পারিষদ সঙ্গে ক’রে অপেক্ষা করে বসে আছেন,—কেউ আর আসে না। দূত এসে খবর দিলে কেউ আজ আসবে না।

 মিকাডো গরম হয়ে বললেন, “আসবে না কেউ? কেন?”

 “সম্রাট! রোদে কারো বেরোবার যে নেই। গাছপালা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পথ-ঘাট তেতে আগুন।”

 “বটে। এতদূর আস্পর্দ্ধা সূর্য্যের। যাও উজীর বল সূর্য্যকে যে, মিকাডো তাকে আকাশ থেকে চলে যেতে হুকুম করলেন।”

 মন্ত্রী গিয়ে ফিরে এসে বললেন, “সম্রাট ভয় হচ্ছে, সূর্য্য আপনার আদেশ গ্রাহ্যই করলে না।”

 “বটে, নিয়ে যাও ফৌজ; বেটাকে বেঁধে নিয়ে এস।”

 খানিকক্ষণ পরে মন্ত্রী ও ফৌজ সব ফিরে এল। মন্ত্রী মুখ নীচু করে বল্লেন, “সম্রাট তাজ্জব ব্যাপার! সূর্য্য বেটাকে ধরা গেল না। অনেক উঁচুতে রয়েছে সে। যতই উঁচুতে উঠছি ততই আরও উঁচুতে উঠে যাচ্ছে। এখন কি আদেশ হয়?”

 মিকাডোর বড় দুঃখ হল, বললেন, “এরকম রাজত্ব ক’রে