পাতা:মায়াবিনী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ) ye liggup সহায়তা করেছে। যে গোরস্থানে জুমেলিয়াকে গোৱা দেওয়া হয়েছে, সেই গোরস্থানে কাল শ্ৰীশচন্দ্র বেড়াতে যায়। ফিরে আসবার সময়ে জুমেলিয়ার কবর দেখতে যায় ; জুমেলিয়া তাকে যেরূপ বিপদে ফেলেছিল, তাতে সে জুমেলিয়াকে কখনও ভুলতে পারবে ব’লে বোধ জয় না। শ্ৰীশচন্দ্রের যদিও বয়স বেশী নয়, বেশ চতুর বটে-আর দৃষ্টিটাও যে বেশ তীক্ষা আছে, এ কথা স্বীকার করা যায়। জুমেলিয়ার । কবরটিার উপরকার মাটিগুলো আলগা আলগা দেখে তার মনে কেমন একটা সন্দেহ হয় ; তার পর সে এক টুকুর কাগজ সেইখানে কুড়িয়ে পায় ; তাতে তার সেই সন্দেহ বদ্ধমূল হয় ; সেই কাগজ টুকরায় জুমেলিয়ার নাম লিখা ছিল। তার পর সে আর টুক্‌রাগুলির সন্ধান কবৃতে লাগল; সেইরূপ ছোট ছোট টুকৃর কাগজ চারিদিকে অনেক । ছড়ান রয়েছে দেখতে পেলে। সেদিন সে কেবল সেই কাগজ টুকরাগুলি বেছে বেছে সংগ্ৰহ ক’রে বাড়ী ফিরে আসে। সে আমাকেও সকল কথা তখন কিছুই বলে নাই, নিজেই সে সেই ছোট ছোট কাগজগুলি ঠিক ক’রে সাজিয়ে আর একখানা কাগজে গাঁদ দিয়ে জুড়ে রাখে। রা। শ্ৰীশচন্দ্ৰ টুকরা কাগজগুলো ঠিক সাজাতে পেরেছিল ? দে । পেরেছিল । রা। কেমন লোকের ছাত্ৰ ! ভাল, তার পর ? '- দে। কাল রাত্রে আমার হাতে সে সেই পত্ৰখানা এনে দেয় ; C83 আশ্চৰ্য্য পত্র আমি কখনও দেখি নাই । রা। কিরূপ আশ্চৰ্য্য শুনতে পাই না কি ? 螺 দে। আমার কাছেই আছে, শ্ৰীশ সেই ছিন্নপত্ৰখানা বেশ পাঠোপযোগী ক’রেই আমার হাতে দিয়েছে। আগেকার টুক্‌রাগুলি পাওয়া