পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sta t �) som himnoph ফুলসাহেব সে কথার কোন উত্তর না দিয়া, কুলসমের হাত ধরিয়া বলিলেন, “তুমি আর এখানে থাকিয়ে না, যেরূপ শুনিলাম, তাহাতে তোমার স্বাস্থ্য এখন তেমন ভাল বােধ করি না। যাও, তোমার মাকে সঙ্গে লইয়া তোমার ঘরে যাও ।” তাহার পর অরিন্দমের দিক্ষে চাহিয়া বলিলেন, “আপনি অনুগ্রহপূর্বক আর একটু অপেক্ষা করুন।” O কুলসম উঠিয়া দাড়াইল, কোন কথা কহিল না ; কিন্তু, সে এমন ভাবে একটা ঘূণার দৃষ্টিতে একবার ডাক্তারের মুখের দিকে চাহিলডাক্তারই সে দৃষ্টির অর্থ বুঝিলেন । তখন ফুলসাহেবের মুখের ভাব অন্য কোন, ভাবাপন্ন না হইলেও, একবার ক্ষণেকের জন্য ললাটকুঞ্চিত হইয়া, মিলাইয়া গেল ; সেই সঙ্গে তাহার সেই দৃষ্টিতে একবার যেন একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ” নির্গত হইয়া, সেইরূপ চাকিতে মিলাইয়া গেল। বলিলেন, “যাও কুলসম, অবাধ্য হইয়ো না-তোমার মাকে সঙ্গে লইয়া তোমার ঘরে যাও ** মতিবিবি উঠিয়া গেলেন ; কুলসমও উঠিল। যাইবার সময় দ্বার সম্মুখে দাড়াইয়া অরিন্দমকে বলিল, “মহাশয়, আমাকে যদি সেই সময় মরিতে দিতেন, ভাল করিতেস: । এখনও বলিতেছি, আপনি ভাল কাজ করেন নাই ।” দ্রুত পদে চলিয়া গেল। তখন ডাক্তার ফুলসাহেব একটা অতি দীর্ঘ, আশ্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “কেহ মরিলে, স্ত্রীলোকেরা যেন কান্দিবার একটা বড় সুযোগ পায়, কঁাদিয়া বাড়ী ফাটাইতে থাকে ; যত শীঘ্র উহাদের হাত হইতে মুক্তিলাভ করা যায়, সে চেষ্টা আমি আগে করি।” তখনই তিনি ভূত্যদের নাম ধরিয়া ডাকিতে লাগিলেন, তিন চারিজন ड्रडा উৰ্দ্ধশ্বাসে ছটিয়া আসিল। অরিন্দম দেখিলেন, তাহারা সকলেই সশঙ্ক, ফ্রান্ত, সকলেই ডাকুর বাবুকে অতিশয় ভয় করে। তাহাদের মুখভাবে