পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਲੈ | V9) উপযুক্ত প্ৰতিফল তা দূরের কথা। ফুলসাহেব আমাদের সোণার সংসার শ্মশান করিয়া দিয়াছে, এখন আমাকে কোন রকমে হত্যা করিতে পারিলে পিশাচ নিষ্কণ্টক হইতে পারে। আমাদিগের বাটীতে আর একজন লোক থাকিতেন, তাহার নাম সিরাজউদ্দীন। আজ একমাস হইল, এমন কি পিশাচ আমার বিমাতার সঙ্গে পরামর্শ করিয়া তাহাকেও কোথায় লুকাইয়া রাখিয়াছে। আজ অবধি তাহার কোন সংবাদ নাই। পিতা তাহাকে বড় স্নেহ করিতেন। তিনি ফুলসাহেবকে, কখনও চিনিতে পারেন নাই, ফুলসাহেবের ষড়যন্ত্রে যে, সে কাজ হইয়াছিল, তাহা তিনি একবার সন্দেহও করিতে পারিলেন না । নিজে বিছানায় পড়িয়া কি করিবেন, ফুলসাহেবকেই তঁাহার সন্ধান করিতে বলিলেন। কালে কিছুই হইল না। তবে এই পৰ্য্যন্ত বলিতে পারি, ফুলসাহেব তঁহাকে ধরিয়া রাখিয়াছে ; এখনও তঁহাকে খুন করে নাই। সম্ভব সেই বিখ্যাত ডাকাত কালুরায়ের কাছে, তাহাকে বন্দী করিয়া । রাখিয়াছে।” অরিন্দম বলিলেন, “তিনি তোমাদের কে হন ?” কুলসম বলিল, “সিরাজউদ্দীনের পিতা বসীরুদ্দীন আমার পিতার জমীদারীর প্রধান নায়েব ছিলেন, শুধু বসীরুদ্দীন কেন বসীরুদ্দীনের পিতা, পিতামহ বংশানুক্রমে আমাদিগের জমীদারীতে নায়েবী কাজে, • ”নক টাকা উপাৰ্জন করিয়া গিয়াছেন। বসীরুদ্দীন আমার পিতা-" আমল হইতে কাজ করিয়া আসিতে ছিলেন। তঁহার সংসারে . . কমাত্র পুত্র সিরাজউদ্দীন ছাড়া আর কেহই ছিল না। আজ পনের * {ৎসর হইল বসীরুদ্দীনের মৃত্যু হয়, তখন তাহার পুত্রের বয়ঃক্রম দশ বৎসর মাত্ৰ। মৃত্যুকালে বসীরুদ্দীন আমার পিতার হাতেই সিরাজউদ্দীনকে সমৰ্পণ করিয়া যান; সিরাজউদ্দীন আবার যেরূপ নম্র, दिनौ