পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es \s 8 - -- Ε -- ফাঁকা বোধ হয় ; তুমি বিপদ ভালবাস না, কিন্তু আমি নিত্য নিত্য বিপদের সঙ্গে থাকিয়া বিপদকে কেমন যেন একটু ভালবাসিতে শিখিয়াছি; তাই আমি বিপদ ভালবাসি, তোমার বিপদটা আমি যদি ৷ নিই, তাতে আর তোমার দুঃখ কি ? এখন এস, যতক্ষণ তোমাকে এখান হইতে না সরাইতে পারিতেছি।--ততক্ষণ তোমার বিপদটা আমি সম্পূর্ণ দখল কুরিতে পারিতেছি না। মােহিনীৰ্ণরেবতীর হাত ধরিয়া হিড়ী হিড়া করিয়া টানিয়া লইয়া रुब्ब् ि। নবম পরিচ্ছেদ । কেশবচন্দ্রের মুক্তি । বাহর হহবার আর কোন উপায় না দেখিয়া কেশবচন্দ্র সেই অবরুদ্ধ । কক্ষমধ্যে-নিশ্চেষ্ট হইয়া বসিয়া রাহিল। ক্রমে সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গেল, এবং অন্ধকারমাত্ৰাত্মক হইয়া সম্মুখস্থ নিবিড় বনভূমি ভীষণ হইয়া উঠিল--জন্তু মূ গর্জন করিয়া প্রবলবেগে ঝটিকার্যন্ত হইল ; এবং ঝটিকান্দোলিত অসংখ্য বন্যবৃক্ষের সহিত নিবিড়তর অন্ধকার সংক্ষুব্ধ সমুদ্রবৎ তরঙ্গায়িত হইতে লাগিল। মেঘমণ্ডিত মসীমলিন আকাশের সহিত তদনুরূপ বনস্থলী একত্রে মিশিয়া, নীলিমা ঢাকিয়া, তারা”: ঢাকিয়া, চন্দ্র ঢাকিয়া প্রকৃতির বক্ষে চিত্রবৈচিত্রবিহীন যতদূর-দৃষ্টি-চলে’ ততদুর-বিস্তৃত একখানা কৃষ্ণ-যবনিকা টানিয়া দিল। ". ক্ষণপরে সেই অন্ধকারের মধ্যদিয়া আর এক অন্ধকারমূৰ্ত্তি সেই অবরুদ্ধ প্ৰকোষ্ঠের সম্মুখে আসিয়া দা ডাইল। বাহির হইতে ডাকিল, “রেবতী, রেবতী ”