পাতা:মায়া-কানন.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*४२ মায়াকানল । শান্ত করেছি। তুমি বৎসে ! এ নীতিকথায় অবধান কর । ইন্দু –ভগবতি ! আপনার আশীৰ্ব্বাদে আমি এ সকল বিলক্ষণ বুঝি, আর মহারাজের মন যদি শান্ত হয়ে থাকে, তবে আমার কিছু মাত্র চঞ্চলতা নাই । অরু —বাছা! তুমি অতি বুদ্ধিমতী ! এই-ই তোমার উপযুক্ত কথা বটে। আমি তোমাদের উভয়েরই শুভাকাঙিক্ষণী। আমার দৃষ্টি বর্তমানরূপ আবরণে আবৃত নয়। এ যা হলো, এতে উভয়েরি মঙ্গল হবে। রণরাক্ষসের হুহুঙ্কারধ্বনিতে, এ সিন্ধুনগরের কর্ণ বিদীর্ণ হবে না, আর রক্তস্রোতে রাজধানীও প্লাবিত হবে না । আর তুমিও পিতৃ পিতামহের অসীম রাজ্যে রাজরাণী হয়ে, শচীদেবীর ন্যায় ইন্দ্রের বিভব সুখ সম্ভোগ কোরবে । ইন্দু —দেবি ! ও আশীৰ্ব্বাদটী কোরবেন না! দেখুন, এই নিশাকালে, সিন্ধুনদের পর পারে যে কি আছে, তা কিছুই দেখা যাচ্চে না । কাল মধ্যাহ্ন কালে যে কি ঘোট্‌বে, তা কে জানে ? ইচ্ছা করি, কাল আপনিও মহারাজের সমভিব্যাহারে মায়াকাননে পদার্পণ কোরবেন। দেখবেন, যেন আমাকে বন্দিনীর ন্যায় না লয়ে যায় ! অরু —এ কি কথা ! কার সাধ্য, এমন কৰ্ম্ম করে ? ইন্দু –ভগবতি ! এখন রাত্রি অধিক হতে লাগলো, কাল যাত্রার আগে আপনি এলে শ্ৰীচরণে বিদায় হয়ে যাব !