পাতা:মায়া-কানন.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়াকানন । > > ○ নাম ইন্দির । তৎকালে ইন্দির সদৃশী রূপসী ত্রিভুবনে লক্ষিত হয় নাই । কিন্তু মানবী ইন্দিরা প্রথম যৌবনে রূপমদে মত্তা হয়ে, রতি দেবীর অবমাননা করায়, মন্মথমোহিনী কুপিত হয়ে ঐ অহঙ্কারিণী রাজনন্দিনীকে শাপ প্রদান করেন, যে, যতকাল তোর অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ রূপসী তোর সমক্ষে আত্মঘাতিনী না হয়, তত কাল তোকে এই ঘোর মায়াকাননে পাষাণী হয়ে থাকুতে হবে। তাতে ঐ ইন্দুনিভাননা ইন্দির করুণস্বরে দেবীকে বল্লেন দয়াময়ি! যদি দয়া করে দাসীর মুক্তির উপায় অবধারণ করে দিলেন, বলুন ? কি উপায়ে এই ভয়ানক বিজন কাননে অপরূপ রূপবতীর আত্মঘাত সম্ভব হয় ? তাহাতে দেবী এই কথা বলে দিলেন যে, যে দিবস ভগবান মরীচিমালী, কন্যার সুবর্ণ মন্দিরে প্রবেশ কোরবেন, সেই স্থলগ্নে যদি কোন পবিত্রস্বভাবা কুমারী, কি স্থপবিত্র অনূঢ় যুব তোমাকে পুষ্পাঞ্জলি দিয়া পূজা করে, তবে কুমারী হইলে স্বীয় ভবিষ্যৎ বরকে, আর পুরুষ হইলে আপন ভাবী পত্নীকে সম্মুখে দেখতে পাবে। এই প্রলোভনে অনেকেই এই মায়াকাননে সমুপস্থিত হবে। ( সহসা ভূমিকম্প ও অপুৰ্ব্ব সৌরভে পরিপূর্ণ) সকলে –একি ! অকস্মাৎ এই স্থান সৌরভে পরিপূর্ণ হলো কেন ? দৈববাণী –( গম্ভীর স্বরে ) হে সিন্ধুদেশবাসীগণ অদ্য এই শোচনীয় ব্যাপার অবলোকন করে ক্ষোভ করে।