পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 22 J সৰ্ব্বাপেক্ষা আশ্চর্যের বিষয় এই, পৃথিবীতে এককালে যে সকল জীব ছিল না, কালক্রমে তাহারা আবিভূত হইয়াছে ; অথচ এই সকল অভিনব জীব সৃষ্টি করিবার জন্য সৃষ্টিকৰ্ত্তাকে কোনরূপ কারখানা বসাইতে হয় নাই। প্রচুর প্রমাণ আছে যে, পৃথিবীতে এককালে মানুষ বা গরু-ভেড়া বা পার্থী বা সাপ-ব্যাঙ এমন কি, মাছ পৰ্য্যস্ত ছিল না । কালক্রমে মাছের আবির্ভাব হইয়াছে। তারপর ক্রমশঃ ব্যাঙ টিকটিকি পার্থী চতুষ্পদ ও দ্বিপদের আবির্ভাব হইয়াছে। এখন টিক্‌টিfকই বা কত রকমের, পার্থীই বা কত রকমের, পশুই বা কত রকমের এবং কালা ও ধল এইরূপ জাতিভেদ করিলে মানুষই বা কত রকমের । এখন পৃথিবীটাই একটা প্রকাও চিড়িয়াখানা ; এক পয়সা দর্শনী না দিয়া আমরা এই চিড়িয়া থানায় প্রবেশ করিয়াছি । এক কালে জীবের অতি অল্পসংখ্যক জাতি ছিল, ক্রমশঃ এত অধিকংখ্যক জাতির আবির্ভাব কি রূপে হইয়াছে, বুঝিবার জন্ত নানা পণ্ডিত নানারূপে চেষ্টা করিয়াছেন । ডারুইন যতটা সফল হইয়াছেন, ততটা আর কেহ হন নাই । ডারুইন দেখিতে পাইলেন, জীবদেকে, অন্ততঃ উচ্চশ্রেণির জীবদেহে, কতক গুলি বিশিষ্ট ধৰ্ম্ম বিদ্যমান । প্রথমতঃ, জীব খাইতে না পাইলে বঁাচে না । খাইতে পাইলেও একটা নির্দিষ্ট বয়সে মরিয়া বায় । এই মরণ হইতে শেষ পর্য্যন্ত আপনাকে রক্ষা করিতে না পারিলেও সস্তান জন্মাইয়৷ বংশরক্ষা করিবার চেষ্টা করে । উস্থা আত্মরক্ষারই অর্থাৎ মৃত্যুকে ফাকি দিবারই এক প্রকারভেদ। সস্তান স্বভাবতঃ পিতামাতারই যাবতীয় ধৰ্ম্ম উত্তরাধিকারস্থন্ত্রে প্রাপ্ত হয়। কিন্তু অবস্থাভেদে আপনাকে কিছু কিছু পরিবর্তিত করিয়া থাকে । একই পিতামাতার পাচটা সস্তান পাচরকমের