পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ ] জয়লাভ করে, বলা কঠিন । কেহ ধারাল দাতের জোরে, কেহ জোরাল শিঙের বলে, কেহ তীক্ষ দৃষ্টির বলে, জয়লাভ করে । , কেহ সম্মুখযুদ্ধে সামর্থ দেখাইয়। জিতিয়া যায়— তাহার বংশপরম্পরার শেষ পরিণতি সিংহ ও শাৰ্দ্দল । কেহ বা রণে ভঙ্গ দিয়া “যঃ পলায়তে স জীবতি” এই মহাবাক্যের সার্থক তা সাধন করে—তাহার বংশধর শশক ও হরিণ । ফলে জীবসমাজে একটা অবিরাম বাছাই কার্য্য চলিতেছে । পণ্ডিতেরা ইহার নাম দিয়া ছেন—প্রাকতি ক নিৰ্ব্বাচন । জীবনসংগ্রামে যাহাদের কোন না কোনরূপ পটুতা আছে, তাeাদিগকেই বাছাই করিয়া ল ওয়া হয় । যাচাদের পটু তা নাই, তাহাদিগকে নিষ্ঠুরভাবে মারিয়া ফেলা হয় । এই বাছাই কাৰ্য্য যে নিতান্ত অপক্ষপাতে ৭ বিবেচনাসহ করে নিম্পন্ন হইতেছে, তা হা নহে । অনেকে পটুতা সত্ত্বে ও সামান্ত ক্রটিতে মারা পড়ে ; অনেকে অপটু হইয়া ও ফাকি দিয়া বাচিয়া যায় । এ বিষয়ে আমাদের fবশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৃতি ঠাকুরাণীর নিকট হারি মানেন । তবে লক্ষ লক্ষ বৎসর ধরিয়া এই বাছাই কার্য্য অবিরাম গতিতে চলিতেছে ; কাজেই মোটের উপর যাহারা কোন না কোন কারণে বাহ্যজগতের সহিত যুদ্ধ করিবার উপযুক্ত সমর্থ ও দক্ষ, তাহারাই বাচয়া গিয়াছে। যাহার যে অবয়ব এই পক্ষে অনুকুল, তাহার সেই অবয়ব পুরুষানুক্রমে গঠিত ও পুষ্ট হইয়াছে। যাহার যে ক্ষমতা এই পক্ষে অমুকুল, তাহার সেই ক্ষমতা পুরুষানুক্রমে বদ্ধিত হইয়াছে। জীবের দেহবস্ত্রের অন্তর্গত অবয়বগুলিতে জীবনরক্ষার অনুকূল নানা কৌশল দেখিতে পাওয়া যায়। সেকালের জীৰৰিস্কা