পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ רצ ] গরু-ভেড়া, চিল-শকুনি, টিকটিকি-গিরিগিটি, মাছি-মশা পৰ্য্যন্তও না হয় সুখদুঃখ-বোধে সমর্থ, ইহা স্বীকার করিয়া লইলাম । জীবের এই সুখদুঃখের অনুভব-ক্ষমতা কিরূপে পুষ্ট হইল, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ডারুইন-শিষ্যেরা বড় কুণ্ঠ বোধ করিবেন না । এই অনুভবে জীবের লাভ আছে কি না, তাহার। কেৰল ইহাই দেখিবেন । যদি এই অমু ভাব-ক্ষমতা জীবন-দ্বন্দ্বে কোনরূপ সাহায্য করে, তাহা হইলে উহার আবির্ভাবের জন্ত ডারুইন-শিয্য চিন্তিত হইবেন না । বলা বাহুল্য যে, অনুভবশক্তি-হীন জীৰ অপেক্ষা অমুভবশক্তি-যুক্ত জীবের জীবন-সংগ্রামে জয়ের সুযোগ আ ত্যস্ত অধিক । এত অধিক যে, মুখদুঃখভাগী জীবের সহিত ই তর জীবের এ বিষয়ে তুলনাই হয় না । প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের ফলে উন্নত জীবের অবস্থা এরূপ দাড়াইয়াছে যে, মোটের উপর উপাদেয়গ্রহণেই তা হার মুখ ও হেয়-বর্জন করিতে না পারিলেই তাহার দুঃথ । যদি কোন দুর্ভাগ্য জীব হেল্প-গ্রহণে সুখ পায় বা উপাদেয়বর্জনে আনন্দ অনুভব করে, পতঙ্গের মত আগুন দেখিলে ঝাপাইয়া পড়িতে যায় অথবা অল্পদর্শনে বমন করে, ধরাধামে তাহার স্থান হইবে না ; বংশ রক্ষাতেও তাহার অবসর ঘটিবে না। বে বাহ্যজগতের সহিত জীবের যুগপৎ মিত্রতা ও শক্রতা, সেই বাহ জগতের কিয়দংশ সে সুখজনক ও কিয়দংশ দুঃখজনক রূপে দেখিয়া থাকে । মানুষের কথাই ধরা যাক । মানুষ দেহুমধ্যে পাচ পাচট ইন্দ্রিয়ের দরজা খুলিয়া বিশ্বজগতের কেন্দ্রস্থানে বসিয়া আছে। চারিদিক হইতে জাগতিক শক্তিসমূহ তাহার সেই ইন্দ্রিয়ভারে আঘাতের পর আঘাত করিতেছে । সেই আঘাতপরম্পরা গোটা কতক তার ৰাছিয়া মাথার ভিতর প্রবেশ ર