পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩ ] আছে ; এ বিষয়ে তাহাদের ইচ্ছা অনিচ্ছ বা স্বাধীনতা কিছু নাই । কেন কি উদ্দেশ্যে তাহারা ঐ রূপ করিতেছে, তাহা তাহারা জানে না । জীবন ধরিতে গেলে উহাদিগকে ঐ রূপ করিতেই হইবে । না করিলে জীবন-যাত্রা চলে না বলিয়াই প্রকৃতিদেবী প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন দ্বারা উহাদিগকে ঐ প্রবৃত্তি ও ঐ ক্ষমতা দিয়াছেন । যাহাদের ঐ প্রবৃত্তি ছিল না বা ঐ ক্ষমতা ছিল না, তাহাদিগকে টিপিয়া মারিয়াছেন । উচ্চ পশুপক্ষীর বুদ্ধিবৃত্তি ও বিচার-শক্তি আছে কি না, বল বিষম সমস্ত । তৃতীয় ভাগ শিশুশিক্ষার হাতী যখন তাহার মাহুতের মাথায় নারিকেল প্র হার করিয়াছিল, তখন সে যে বিচার-শক্তির পরিচয় দেয় নাই, তাই বলা তুষ্কর । আমার কোন আত্মীয় মহাজনিব্যবসা করিতেন ; তাছার বাড়ীর দরজায় খাচার মধ্যে একটি ময়ন পাখী বুলি ত । কোন ব্যক্তি দরজার চৌকাঠে পা দিব্যমাত্র পাখী জিজ্ঞাসা করিত, “টাকা এনেছিস্ ?” পাথীর এই কৰ্ম্ম কতটুকু সংস্কার-প্রেরিত, আর কতটুকু বিচার-পূৰ্ব্বক কৃত, বল। কঠিন । কিন্তু বানর যখন তাহার পালকের আদেশক্রমে কদমগাছে উঠে, আর সাগর ডিঙ্গায় ও শ্বাশুড়ীকে ভেংচায়, তখন তাহার এই ব্যবহার যে বুদ্ধি-পূর্বক আচরিত হয় না, ইহা বল কঠিন । সে যাহাই হউক, জীবের মধ্যে মনুষ্য এই বৃত্ত্বির পরাকাষ্ঠ পাইয়াছে। এই বৃত্তির উৎকর্ষহেতু মমুয্য জীবজগতে শ্রেষ্ঠ । এই বুদ্ধিবৃত্তি যে জীবন-রক্ষার পক্ষে অমুকুল, তাহাতে কোন ংশয়ই নাই । কেন না, সহজ সংস্কার যে খানে পথ দেখায় না, অথচ ঠকাইয়া দেয়, বুদ্ধিবৃত্তি সেখানে গন্তব্য নির্ণয় করিয়া জীবন-রক্ষার উপায় করে । বুদ্ধিজীবী মমুস্তুই স্বরাপান-নিবারিণী