পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ ७ ] নিরীক্ষণ করিতেছি ; আমি সাক্ষী, আমি যাহা দেখিতেছি, তাহ। চিত্তপটে আঁকি য়। রাখিতেছি এবং প্রয়োজনমত তাহা আমার কাজে লাগাইতেছি । কাজ, কি না—জীবন-রক্ষণ । রূপ-রসাদির প্রবাহ শুমাসিয়া আমার চিত্তপটে রেখা টানিয়া যাইতেছে। তাহার সাহায্যে আমরা আমাদের ভবিযাৎ নিদিষ্ট করিয়া লইতেছি । অতএব আমি বৈজ্ঞানিক । কিসে কি হইতেছে, কিসের পর কি ঘটিতেছে, কখন কি ঘটতেছে, ইহা বসিয়া বসিয়া দেখা এবং এই দশনজাত অভিজ্ঞ তাকে জীবন-যুদ্ধের কাজে লাগান, বৈজ্ঞানিকের এইমাত্র কার্যা। মনে করি ও না যে, বগলে থাম মিটার ও চোখে দূরবীন না লাগাইলে বৈজ্ঞানিক হয় না । ষ্টীম-এঞ্জিন আর ডাইনামো, আর মোটরগাড়ী আর গ্রামোফোন দেখিয়া ভুল বুঝি ও না যে, যন্ত্রতন্ত্রের বহবার স্তু ন হইলে বৈজ্ঞানিক হয় না । বসিয়া বসিয়। জগৎযন্ত্রের গতিবিধির আলোচনা ও সেই আলোচনাকে আপন জীবনযাত্রায় নিয়োগ করিতে পারিলেই বৈজ্ঞানিক হয় । এই অর্থে আমরা সকলেই ছোট বড় বৈজ্ঞানিক । এমন কি, তৃতীয় ভাগ শিশুশিক্ষার হাতী যে রাগ করিয়া মাহুতের মাথায় নারিকেল ভাঙ্গিয়াছিল, সেও যে একটা ছোটখাট বৈজ্ঞানিক ছিল না, তাহ নিৰ্ভয়ে বলিতে পারি না । আজ বড় বড় বৈজ্ঞানিকের হাতে, কেলবিনের হাতে, অথবা এডিসনের হাতে বড় বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের বা উদ্ভাবনার সংবাদ গুনিয়া ত্ৰস্ত হইবার হেতু নাই ; মানবের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি কোন অতীত কালে কোন অজ্ঞাতনামা বৈজ্ঞানিক কর্তৃক সম্পাদিত হইয়া গিয়াছে, ইতিহাস তাহার খবরও রাখে না । আমাদের যে অরণাবাসা পূর্বপি তামহ সৰ্ব্ব প্রথমে কাঠে