পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] করিয়াছে এবং তাছারাই বাহ জগতের সহিত বিরোধে পরাভূত হয় ও মরিয়া যায়, ইহা সত্য কথা। কিন্তু বাহাজগৎকে ফাকি দিবার ও একটা কৌশল এই উচ্চতর জীবের উদ্ভাবন করিয়াছে । স্বভাব তঃ মৃত্যু উপস্থিত হইবার পূর্বেই তাহারা পিতা অথবা মাতা সাজিয়া, অথবা যুগপৎ পিতা ও মাতা সাজিয়া, দেহের এক বা একাধিক খগু বাহাজগতে নিক্ষেপ করে এবং সেই দেহখণ্ড আ বার বাহাজগৎ হইতে মশলা ও অস্ত্র সংগ্ৰহ করিয়া পিতা মাতার মতই বাহজগতের সহিত লড়াই করিতে প্রবৃত্ত হয় । এই ব্যাপারের নাম বংশরক্ষণ এবং জীব যখন মরিয়া যায়, সস্তান তখন তাহার উত্তরাধিকারী হ ইয়া তাহারই মত জীবনদ্বন্দ্ব চালাইতে থাকে । বাহ্যজগতের একমাত্র লক্ষ্য—জীবনকে লোপ করা ; জীবনের BBBB KBS BBBBBB BB BBB BS BBBB K BDBB BBSS আধুনিক জীববিদ্যা জীবদেহকে যন্ত্র-হিসাবে দেখিতে চান । যন্ত্রমাত্রেরই একটা উল্লেখ থাকে। ঘটিকাযন্ত্র কাটা ঘুরাইয়া সময় নির্দেশ করে । এঞ্জিন চাকা ঘুরাইয়া জল তোলে, ময়দা পেষে, গাড়ি টানে । যন্ত্রের মধ্যে যে সকল অবয়ব আছে,— যেমন ঘটিকাষন্ত্রের স্প্রিং পেণ্ডুলম চাকা কাটা ইত্যাদি—প্রত্যেক অবয়বের একট। নির্দিষ্ট কার্য্য আছে ; প্রত্যেক অবয়ব আপনার কার্য্য নিম্পন্ন করিলে যন্ত্রটি আপনার উদ্দেশু-সাধনে সমর্থ হয় । দেহ মধ্যেও সেইরূপ নানা অবয়ব আছে ; নাক, কাণ, চোথ, হাত, পা, দাত এবং সকলের উপর উদর, প্রত্যেকে আপন নির্দিষ্ট কার্য সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করিলে দেহযন্ত্র চলিতে থাকে। উদরের উপর অভিমান করিয়া কেহ কৰ্ম্মে শৈথিল্য করিতে গেলেই ঠকিয়া যায় । যন্ত্রকে চালাইতে হইলে বাহির হইতে শক্তি ৰোগাইতে হয় ;–যেমন, ঘড়িতে দম দিতে হয় ; এঞ্জিনে