পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
১০৫



তা’র তো সম্পত্তির অভাব নাই, তবে এ কদর্য্য কাজ কর্ল্যে কেন? বোধ হয়, সীতা-সুন্দরীকে ক্লেশ দেবার কারণেই এ কাজটী ক’রেছে। আহা! সধবার এরূপ বেশ কি কখনো চক্ষে দেখা যায়?— দেবি! অনুমতি কর, ও বরাঙ্গ বেশ ভূষায় সজ্জিত ক’রে দিয়ে মনের খেদ দূর করি। দাসীর প্রার্থনা পূর্ণ কর, অনুমতি দাও।

 সীতা। সখি! পতিই সতীর অলঙ্কার। সেই অমূল্য অলঙ্কারে বঞ্চিত হ’য়ে সামান্য রত্নালঙ্কারে কি প্রয়োজন? সখি! তুমি এ অন্যায় অনুরোধ আর ক’রো না; তোমার মুখে এ কথা কখনো শোভা পায় না। রাবণের কোনো দোষ নাই,আমিই স্বেচ্ছায় এ বেশ ধারণ ক’রেছি। দুরাত্মা যখন আমারে হরণ ক’রে ল’য়ে আসে, তখন আমি প্রভুকে জানা’বার জন্যে, অলঙ্কার উন্মোচন ক’রে পথের মধ্যে মধ্যে ফেলে দিই। সেই চিহ্নের অনুসরণে প্রভু যদি আমার অনুসন্ধান পান্‌ মনে এই আশা ক’রেছিলেম। —হায়! সে আশায় নিতান্তই নিরাশ হ’লেম্‌।

 সরমা। দেবি! এখনি হতাশ হও কেন? শ্রী রামচন্দ্রের আসার আশা এখনো গত হয় নি।—

১৪