পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
১০৭



নিশ্চয়ই রক্ষোবংশ-ধ্বংস ক’বে, তোমারে উদ্ধার ক’র্ব্বেন্‌। দুরাচার দশানন যখন ও পবিত্র অঙ্গ স্পর্শ ক’রেছে, তখনি তা’র পরমায়ু শেষ হ’য়েছে। হায়! শূর্পণখার দোযেই লঙ্কাপুরী উচ্ছিন্ন হ’বে। শ্রীরামচন্দ্র নররূপী ভগবান্‌ গোলোকপতি, তা’র সঙ্গে বিবাদ ক’রে স্বয়ং মৃত্যুপতিও নিস্কৃতি পান্‌। না। সময় পূর্ণ হ’লে লোকে আপনার মৃত্যুর ঔষধ আপনিই গলায় পরে-পতঙ্গ, জ্বলন্ত আগুনে নিজেই ইচ্ছা ক’রে পুড়ে মরে। শ্রী রামচন্দ্রের সঙ্গে মিত্রতা ক’বে, তোমারে প্রত্যপণ করার জন্য লঙ্কার সমস্ত ধার্ম্মিক লোকে দশাননকে পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু দেবি! যা’র মৃত্যু নিকট, সে কখনো ঔষধ সেবন করে না। দুর্বুদ্ধি তা’দের সেই পরামর্শে কর্ণপাত ও ক’চ্ছে না।—হায়! এত দিনের পরে রাক্ষসকুল বুঝি নিমূল হ’ল! এত দিনের পরে বুঝি লঙ্কার সুখরবি অস্তে গেল! এত দিনের পরে বুঝি দশাননের দুঙ্কর্ম্মের প্রতিফল হল! (দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ।)

 সীতা। সরমে! মরমে আমার যে বেদন তা' যদি দেখা’বার উপায় থাক্ত, তবে এখনি হৃদয়