দুশ্চিন্তা, যুগপৎ হৃদয়ে উদয় হ’য়েই, আমার চিত্ত বৈকল্য সম্পাদন ক’চ্ছে।
লক্ষণ। আর্য্য! শারদীয় নীল নৈশ নভোমণ্ডলের উজ্জ্বল মণি, লোচনানন্দকর পূর্ণ সুধাকর, সহসা রাহু-গ্রস্ত হ’লে কা’র মনে না। দুঃখোদয় হয়? আপনার এই বনাগমনে পুরবাসীরা যে একেবারেই শোক-সাগরে নিমগ্ন হ’বে, ত’তে আর সংশয় কি?
সীতা। (রামের প্রতি) আর্য্যপুত্র! শ্বশ্রূ কৈকেয়ীর মনে যদি লোকাপবাদ ও লজার ভয় থাক্ত, তা’ হ’লে তিনি এমন নিষ্ঠুর আচরণ কখনো ক’র্ত্ত্যে পার্ত্যেন না।
রাম। না প্রিয়ে! আমাদের বিদায় কালে বিমাতা কৈকেয়ী ও আশ্রু বিসর্জ্জন ক’রেছেন।
সীতা। নাথ! হরিণ-শিশু বধে কি কিরাতীর কখনো করুণার উদয় হয়?—সে। তাঁ’র শোকাশ্রু নয়-আনন্দশ্রু!!
লক্ষণ। আর্য্যে! আপনি যথার্থ উক্তি ক’রে- ছেন। সপত্নী-পুত্রকে বনবাস দিয়ে স্বপুত্রকে রাজ্যেশ্বর করা অপেক্ষা, তাদৃশ কুটিল হৃদয়ার পক্ষে আর কি আনন্দের বিষয় আছে?