পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
৩৫

অধর্ম্মপথে পদার্পণ ক’র্ত্ত্যে কেন উদ্যত হ’চ্ছ? মহারাজ কেবল মাত্র ধর্ম্মানুরোধে প্রাণ পরিত্যাগ ক’র্ল্যেন, আর তুমি সেই ধর্ম্ম ভঙ্গ ক’র্ত্ত্যে একেবারে দৃঢ় অধ্যবসায় হ’চ্ছ? অতএব এরূপ বালক-বুদ্ধি পরিত্যাগ কর। এখন তুমি সত্বর রাজধানীতে প্রত্যাগমন ক’রে রাজ্যাভিষিক্ত হ’য়ে, রাজকার্য্য পর্য্যালোচনা ও জননীদের সেবা শুশ্রূষা কর। আমি সত্য-ব্রত পালন ক’রে চতুর্দ্দশ বৎসরান্তে আবার অষোধ্যায় প্রতিগমন ক’র্ব্বো। এখন এ বিষয়ে বারংবার অনুরোধ ক’র্ল্যে, যার পর নাই অসন্তুষ্ট হ’ব। ধর্ম্ম রক্ষার নিমিত্ত, রাম, প্রাণ ত্যাগেও ক্ষুব্ধ নয়।

 জাবালি। (শিরঃকম্পন পূর্ব্বক বাগাড়াম্বর সহকারে)। রাজকুমার! মহারাজ। আপনাকে বনে বাস ক’র্ত্ত্যে অনুমতি দিয়েছিলেন, তা' আপনি উপবনে বাস ক’রেও তাঁ’র বাক্য পালন ক’র্ত্ত্যে পারেন্‌। বন আর উপবনও কিছুই প্রভেদ নাই। তরুসমষ্টির নাম বন, উপবনও বৃক্ষ সমষ্টি ভিন্ন আর কিছুই নয়; এতাবতা উপবনই বন। বন হিংস্র জন্তপূর্ণ, তা’ মহারাজের উপবনেও