পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
মায়া-মৃগ।

কোনো বিপদ বা ক্লেশ হ'লে, আমরাও বিপদ ও ক্লেশ অনুভব করি। আর্য্য! ক্রোধোদয়ে মানুষ্যের জ্ঞান লোপ পায়, আপনার সমক্ষে যদি কিছু ঔদ্ধত্য প্রকাশ হ’য়ে থাকে, তবে এ চিরদাস লক্ষণের প্রতি কৃপাকটাক্ষবিক্ষেপে অপরাধ মার্জ্জনা করুন।

 রাম। (লক্ষ্মণকে আলিঙ্গন করিয়া) ভ্রাতঃ লক্ষ্মণ। সাধু! সাধু! তোমার বাক্যে আমি পরম পরিতুষ্ট হ’লেম। তুমি যে নিতান্তই আমার শুভাভিলাষী, তা' আমি বিলক্ষণ অবগত আছি। ভ্রাতঃ! তুমিও কেবল আমার জন্য রাজ্যত্যাগী হ’য়ে অকারণে দারুণ দুঃখ ভোগ ক’চ্ছ।

 লক্ষ্মণ। ভৃত্য নিকটে উপস্থিত না থা’ক্‌লে প্রভুর সেবা কে ক’র্ব্ব্যে? প্রভুর মঙ্গলামঙ্গলেই ভৃত্যের মঙ্গলামঙ্গল।

 রাম। প্রিয়ে জানাকি! লক্ষ্মণ আমাদের নিতান্ত অনুগত। ঈদৃশ ভ্রাতৃরত্ন লাভ করা পরম শ্লাঘার বিষয়।

 সীতা। আর্য্যপুত্র! দেবর লক্ষণ সতত আমাদের মঙ্গলানুধ্যায়ী। লক্ষণের ঋণ কিছুতেই পরিশোধ হ’বার নয়।