ধারণ ক’রে আত্মবিস্মৃতি হ’য়েছেন। আর নিরাকারে নরলীলাই কর্ত্তব্য।
ইন্দ্র। সেই জন্যই কৈকেয়ীর ঈর্ষায় শ্রীরামচন্দ্র বনবাসী হ’য়েছেন। রাবণ- বধের নিমিত্ত আমরাই চক্রান্ত ক’রে কৈকেয়ী দ্বারা তাদৃশ্য নিদারুণ বরদ্বয় প্রার্থনা করাই।
বায়ু। দেবোপকারের নিমিত্ত কিন্তু কৈকেয়ী রাণীর চিরকলঙ্ক হ’ল। যুগে যুগে এর ঘোষণা থা'ক্বে।
চন্দ্র। সে বিচার এক্ষণে অনাবশ্যাব; উপস্থিত বিষয়ের বিধান করুন্।
ইন্দ্র। সে বিধান ত পূর্ব্বেই করা হ’য়েছে। রাবণ, লক্ষ্মী-রূপা জানকী দেবীকে হবণ ক’র্ব্বে, তা’ হ’লেই বিরোধ সংঘটন হ’বে। সেই কোপেই শ্রীরামচন্দ্র সবংশে রাবণ-নিধন ক’র্ব্বেন। এ উপায় অমোঘ।
চন্দ্র। হাঁ, এ উপায় উত্তম। আব রাবণের যেরূপ স্বভাব, তা’তে এ কিছু অসম্ভব নয। অণু মাত্র অনুসন্ধান পেলে সীতাদেবীর ন্যায় সর্ব্বললামভুত রমণী-রত্ন হরণ ক’র্ত্ত্যে রাবণের মত দুরাচার কখনই পরাত্মুখ হ’বে না।