পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
৭৩

এই বাহুবলে এখনি সৃষ্টিবিনাশ ক’র্ত্ত্যে পারি; আমার আবার ভয় কা’রে?—রাক্ষসাধম! জানিস্‌। না, কা’র সাধ্য যে দশাননের এই উলঙ্গ অসির? সম্মুখীন হয়? (আসি নিষ্কোষিত করিয়া প্রদর্শন।) —ক্ষুদ্রবুদ্ধি! আমি অপার সমুদ্র উর্ত্তীর্ণ হ’য়ে কি এখন তুচ্ছ গোস্পদ-নীর পার হ’তে ভয় পা’ব? মদ-মত্ত-কার-কুম্ভ বিদীর্ণ ক’রে কি এখন অজা-শিশুর সংগ্রামে পরাস্তুখ হ’ব? কালসর্প কবলিত ক’রে কি এখন সামান্য সরীসৃপ দর্শনে আকুলিত হ’ব? -হতভাগ্য! তোর অতি দুবুদ্ধি। দশাননের প্রতি ঈদৃশ উক্তি ক’র্ত্ত্যে তোর হৃদয়ে কি ভীতি সঞ্চার হ’ল না? অথবা, তোর প্রাণাকাঙক্ষা নাই; অন্যথা, কোন সাহসে জ্বলন্ত বহ্নিশিখা আলিঙ্গন ক’র্ত্ত্যে উদ্যত হচ্ছিস্? কোন্‌ সাহসে কালসর্পমুখে হস্ত প্রদান ক’চ্ছিস্‌? কোন্‌ সাহসে ক্ষুধার্ত্ত কেশরীর আহারে ব্যাঘাত ঘটা’তে প্রয়াস পাচ্ছিস্? বোধ হয়, “আসন্নকালে বিপরীত বুদ্ধি,” তুই এই প্রবাদের সার্থকতা সম্পাদন ক’চ্ছিস্‌।

 মারীচ। (সভয়ে করপুটে) রক্ষোরাজ! দাসের অপরাধ মার্জ্জনা করুন্‌। আপনার আদেশ