পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
৭৯

 সীতা। (ক্ষণকাল মৌনভাবে অবস্থানের পর) বৎস লক্ষ্মণ! অনেক ক্ষণ হ’ল আর্য্যপুত্র সেই স্বর্ণ-মৃগের অনুসরণে গিয়েছেন, এখনো প্রত্যাগত না হ'বার কারণ কি?

 লক্ষণ। দেবি! বোধ হয় সেই মনোহর মৃগ অতি দূর বনে পলায়ন ক’বেছে, সেই কারণেই আর্য্যের প্রত্যাগমনে কিছু বিলম্ব হ’চ্ছে।

 সীতা। কি জানি বৎস! আমার মন বড় ব্যাকুল হ’যেছে, কিছুতেই স্থির হ'চ্ছে না। আর্য্যপুত্র একাকী গিয়েছেন, তাঁ’র তো কোনো অমঙ্গল ঘ'ট্‌বে না?

 লক্ষ্মণ। আর্য্যে! অকারণে আপনি এত উতলা হন্‌ কেন? যে বিপত্তিহারী মধুসূদনের নাম স্মরণে লোকের বিপদভঞ্জন হয়, তাঁ’র আবার বিপদ কোথায়?—কবন্ধের শিরঃপীড়া, দেহহীনের গাত্রদাহ, অগ্নির শীতভয়, নিতান্তই অসম্ভব।

 সীতা। বৎস! পঞ্চবটীবনে দুষ্ট নিশাচরেরা নিয়ত গতায়াত করে। রাক্ষসকুল এখন আমাদের পরম শত্রু। সে দিন শূর্পণখাব অপমানে দুই ভাই খর দূষণ চৌদ্দ হাজার রাক্ষস নিয়ে আমাদের