পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসগ ছেলে স্কুলের পড়া পড়িত, মেয়েকেও তিনি ঠিক স্কুলের পড়ার মত ইংরাজী, বাঙ্গালা, সংস্কৃত পড়াইতেন। ছেলেকে যেমন উর্দু, শিক্ষা দিতেন, মেয়েকেও তেমনই উর্দু, শিখাইতেন। আলি যখন প্ৰবেশিকা পরীক্ষা দিল, তখন তাহার বয়স ১৭ বৎসর, লয়লা তখন ১২ বৎসরে পড়িয়াছে। কিন্তু এই বার বৎসর বয়সের মেয়ে পিতার শিক্ষাগুণে তখনই প্ৰবেশিকা পরীক্ষার পাঠ শেষ করিয়া ফেলিয়াছিল। আমরা বেশ বুঝিতে পারিতাম, ইংরাজী ও বাঙ্গালায় সে আমাদের অপেক্ষা অধিক বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিল ; ইহা ছাড়া উর্দু, সে কতটা শিখিয়াছিল, তাহা আমি বলিতে পারিব না ; কিন্তু মৌলবী সাহেব বলিতেন যে, লয়লা তাহদের ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ বেশ বুঝিতে পারে। আমরা কলিকাতায় পড়িতে গেলাম ; মৌলবী সাহেব তখন একমাত্র কন্যার শিক্ষা-বিধানের জন্য অধিকতর যত্ন ও চেষ্টা করিতে লাগিলেন । তঁহার সহধৰ্ম্মিণী, কিন্তু যখন-তখনই বলিতেন “মেয়েকে যে এত লেখাপড়া শিখাইতেছ, তাহার পর।” মৌলবী সাহেব বলিতেন “তাহার পর কি ?” গৃহিণী বলিতেন “এত লেখাপড়া-জানা মেয়ের উপযুক্ত জামাই কোথায় পাইবে ?” মৌলবী সাহেব বলিতেন “সে যা হয় হইবে ; তা বলিয়া কি মেয়ের জ্ঞানসঞ্চয়ে বাধা দিতে পারি। খোদার যা মজ্জিা হয়, তাহাই হইবে । তুমি আমি কি কৰ্ত্তা ।” মৌলবী সাহেবের সহধৰ্ম্মিণী এ কথার আর কি উত্তর দিবেন। স্বামীকে তিনি দেবতা বলিয়াই জানিতেন । তিনি যাহা ভাল বিবেচনা করিবেন, তাহা ভালই হইবে। তবুও স্ত্রীলোকের মনবোবে না, পাড়ার