পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসগ SS মৌলবী সাহেব বলিলেন “যে ছেলে পিতার অমতে বিবাহ করতে প্ৰস্তুত হয়, সে ছেলের সঙ্গে আমি মেয়ের বিবাহ কিছুতেই দেব না। সতীশ ।” আমি বলিলাম “তা হলে রামচন্দ্ৰপুরে লোক পাঠালে হয় না ?” মৌলবী সাহেব বলিলেন “আমাকে যদি যেতে বল, আমি রাজী আছি ।” আমি বলিলাম “আগেই আপনার গিয়ে কাজ নেই ; তারা যদি বিবাহ না দিতে চায়, তা হলে আপনার মনে কষ্টও হবে, অপমানও (वक्ष श् ।।” মৌলবী সাহেব হাসিয়া বলিলেন “সতীশ, মান-অপমান নিজের কাছে। লোকের কথায় কি কারও মান যায় । তা বেশ, “আমি না হয় নাই গেলাম, আলিকেই পাঠিয়ে দেব ! কিন্তু আমার মনে হয়, আর দিন-দশেক পরে গেলেই ভাল হয় ; সে সময় ছেলেটিীও পরীক্ষা দিয়া বাড়ী আসিবে । ছেলের পিতা যদি ছেলের মতের অপেক্ষা করেন, তা হ’লে এখন গিয়ে ত বিশেষ কাজ হবে না ।” তাহাই স্থির হইল। কিন্তু এ কয়দিনও আলি চুপ করিয়া বসিয়া থাকিল না ; যেখান-যেখান হইতে সম্বন্ধ আসিয়াছিল, তাহার দুই তিনটী দেখিয়া আসিল, কোনটাই তাহার পছন্দ হয় ‘না, তাহার পিতার কথা ত দূরে থাকুক। তাহদের এই প্রকার বাছ-বিচার দেখিয়া আত্মীয়-স্বজনেরা মহা বিরক্ত হইয়া পড়িলেন ; মৌলবী সাহেব নীরবে: তঁহাদের বাক্যবাণ সহ করিতে লাগিলেন । বিশেষ আশা করিয়াই আলি রামচন্দ্ৰপুরে গিয়াছিল। লক্ষ্মীপুত্র হইতে রামচন্দ্রপুর অনেক পথ, প্ৰায় সাত ক্রোশ। এই সাত ক্রোশ পথ