ఎ মালতীমাধব । বাম বলিয়া আমরা ঐরূপ বিপদে চিরময়ই আছি। মাধব বলিতে লাগিলেন, “হা, কোথায় প্রিয়ে মালতি! কটিত কিরূপে পর্যবসিত হইলে কিছুই জানিতে পারিতেছি না । হে অকরুণে ! প্রসন্ন হও ; আমাকে শাস্ত কর । আমি তোমার প্রিয় মাধব আমার প্রতি এ অপ্রিয়ভাব কেন ? সুললিত মঙ্গলসুত্র শোভিত মূৰ্ত্তিমান মহোৎসবের ন্যায় তোমার করগ্রহণ করিয়া যে ব্যক্তি আনন্দস্রোতে প্লবমান হইয়াছিল, আমি সেই মাধব ।” পরে মকব্লকে কছিলেন, “বয়স্য। এ সংসারে তাদৃশ স্নেহভাজন হুলভ। দেখ, আমি তাহার পূর্বরাগে এই কুসুমমুকুমার শরীরে প্রতিক্ষণ দারুণ দুঃসহ মহাজ্বর মহা করিয়াছি, আর প্রাণকে তৃণবৎ ত্যাগ করিতে দৃঢ়নিশ্চয় করিয়াছি, ইহা অপেক্ষা আর কি গুরুতর ব্যাপার ছিল, ষে, তাহা করিতে সাহস না হইতে পারে ? এবং প্রিয়তমাও বিবাহবিধির পূৰ্ব্বে মৎপ্রাপ্তি বিষয়ে নিরাশা হইয়া মৰ্ম্মচ্ছেদী যাতনায় বিকল ও কাতর শরীরে এমত মেছfভপ্রায় প্রকাশ করি য়াছিলেন, যে তাছাতে আমি ও মনঃপীড়ায় কাতর হুইয়াছি। আহা ! হৃদয় গাঢ় উদ্বেগে দলিত, তথাপি দ্বিধাভগ্ন হইল না ; বিকল শরীর অবিরত মোহভরে শ্রান্ত, তথাপি অচেতন হইল না ; তন্তু অন্তর্দাহে প্রজ্বলিত, তথাপি এখনও ভস্মীভূত হইল না ; বিধাতা মৰ্ম্মচ্ছেদে প্রভু, তথাপি কেন জীবনের মূলচ্ছেদ করিলেন না, প্রাণপক্ষী এত ব্যাকুল, তথাপি এখনও কেন প্রিয়ার অমুগমন করিল না ; এই দেহদীপ যখন প্রেয়সীর স্নেইপরিশূন্য
পাতা:মালতী-মাধব.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।