পাতা:মালতী-মাধব.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y R মালতীমাধব । জগতের জয় পতাকার ন্যায় সেই খনে উপনীত হইলেন। দেখিলাম, তঁ,হার শরীর সকল রমণীয়ত,র আধার বা সমুদায় সৌন্দৰ্য্যসারের নিকেতন। বোৰ হয়, যেন স্বয়ং মদন, সুধাকর সুধী চন্দ্রিক প্রভৃতি রময় উপাদানে সেই মনোহর মূৰ্ত্তি নিৰ্মাণ করিয়াছেন। পরে তিনি কুসুমচয়নকারিণী অম্লচারিণী সখীগণের অভ্যর্থনানুসারে সেই বাল বকুল রক্ষের দিকে আসিলেন। তখন দেখিলাম, তাছার শরীর স্নান, গণ্ডস্থল পাওবর্ণ, আর এরূপ অন্ত্যমনস্ক, যে পরিজনেরা পুনঃ পুনঃ প্রার্থনা করিলেও অনাস্থা পূর্বক কার্ঘ্যে প্ররক্ত হইতেছেন। এইরূপ ভাবভঙ্গী দেখিয়া স্পষ্ট প্রতীতি হইল, যে কোন ভাগ্যবান্‌ পুরুষের উদ্দেশে যেন চিরসঞ্চিত মদনবেদন তাহাকে জর্জরিত করিতেছে। দর্শন মাত্র সেই সুলো চনা অমৃতপ্রদীপের হ্যায় আমার লোচন সুশীতল ও প্রাত করিয়াছিলেন। পরে চুম্বক যেমন লোছ আকর্ষণ করে, সেই রূপ তিনি আমার মন হরণ করিলেন । আর কি বলিব, যখন কোন কারণ না দেখিয়া মন তাহাতে আসক্ত হইয়াছে, তখনই স্থির করিয়াছি, নিরন্তর সন্তাপ ভোগ করিতে হইবে। আমার ইচ্ছায় কি হয়, শুভই হউক বা অশুভষ্ট হউক, ভবিতব্যতাই সকলের মূলাধার। মকরদ কহিলেন, সখে! নিমিত্ত ব্যতিরেকে কখনই প্রণয়সঞ্চার হইতে পারে না। দেখ, সুর্য্যোদয়ে যে পদ্ম বিকসিত হয় ও চন্দ্রেদয়ে যে চন্দ্রকান্ত মণি দ্রবীভূত হয়, ইহার বাহ্য কারণ আমরা কিছুই অনুভব