দ্বিতীয স্তষ্ক । ९१ ফল দশে তবেই যাহা হয়, হইবে । এই কথা শুনিতে শুনিতে পরিব্রাজিক অবলোকিতার সহিত অমাত্যভবনে প্রস্থান করিলেন । এদিকে অমাতানদিনী প্রিয় বয়স্যা লবঙ্গিকাসমভিব্যাহারে বিজন সোধ-শিখরে বসিয়া সমুৎসুক চিত্তে জিজ্ঞাসিলেন ; হু, সখি! তুমি পুষ্প চয়ন ব্যাজে গিয়৷ মালা চাহিলে । তার পর, তার পর । সে বলিল, তার পর সেই মহামুভব এই বকুলমাল আমাকে দিলেন। এই বলিয়। মাল সমৰ্পণ করিল। তিনি সমাদরে গ্রহণ ও ছর্ষোৎফুল্ল লোচনে নিরীক্ষণ করত কহিলেন, সখি ! ইছার এক পাশ্বের রচনা যেমন, অপর পাশ্বের তদনুরূপ হয় নাই। সে বলিল, ও বিষম বিরচনা বিষয়ে তুমিই অপরাধিনী । সে সময় সেই দুৰ্ব্বাদল শ্যামল যুবকে যে ব্যস্ত করিয়াছিলে, মনে করিয়া দেখ। অমাত্যমৃত কহিলেন, আছা, প্রিয়সখি ! কত আশ্বাস দিতেই শিথিয়াছ। সে কছিল, এ আবার আশ্বাস কি ; আমি বলি, শুন – যখন তিনি মন্দ মন্দ সমীরণে প্রচলিত কমলদলের ন্যায় , চঞ্চল লোচনে তোমাকে পুনঃ পুনঃ নিরীক্ষণ করিয়াছিলেন এবং প্রারব্ধ বকুলমালিক রচনাচ্ছলে প্রসারিত নয়ন যুগল প্রযত্নে সঙ্কুচিত করিয়াছিলেন, তখনই উপহার হর্ষবিস্ময়াদি বিলাস লক্ষণ বিলক্ষণরূপেই প্রতীয়মান হইয়াছে। তুমি কি তাছা দেখ নাই ? অমাত্যকুমারী শুনিয়া লবঙ্গিককে অলিঙ্গন পূর্বক জিজ্ঞামিলেন, সখি! যাহা দেখিলে ক্ষণসন্নিহিত জনের মনেও অলীক আশা সঞ্চারিত হয়, এ কি
পাতা:মালতী-মাধব.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।