দ্বিতীয অঙ্ক - ২৯ ভূরিবসো ! ভাল বলিয়াছ। নিজ কন্যার প্রতি মহারাজের প্রভুত্বই আছে, এ বড় কৌশলের কথা । ইহাতে ইহলোক পরলোক দুই রক্ষা পাইয়াছে। আর মদনোদ্যান বৃত্তান্ত শুনিয়া বুবিলাম, প্রজাপতি অনুকূল ৷ বকুলাবলী ও চিত্রফলক বিধান মনে করিলে আনন্দ জলধি উচ্ছলিত হইয় উঠে । যেহেতু দম্পতীর পরস্পর অনুরাগই বিবাহ কৰ্ম্মে প্রধান মঙ্গল। মহর্ষি অঙ্গির বলিয়াছেন, "যে খানে বাঙ মনশ্চক্ষুর সবিশেষ সম্বন্ধ সেই খানেই দম্পত্যনিবন্ধন সুখ সমৃদ্ধি —যে দম্পতীর মনের ঐক্য, বাক্যের ঐক্য ও কায্যের ঐক্য থাকে, সমস্ত অমুখ তাহাদিগের নিকট হইতে সুদূরে পলায়ন করে ; এই ভূলোকেই তাছার। দুলোকের সুখ অনুভব করেন। কি মুখ কি দুঃখ, কি সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য, কি যৌবন কি প্রৌঢ়কাল, কি সম্পত্তি কি বিপত্তি, সকল সময়েই দম্পতীর এক ভাব ও অনন্যসাধারণ প্রেম অনন্ত মুখের আকর । এই রূপ প্রেম, সংসার ভারপ্রান্ত হৃদয়ের বিশ্রাম ধাম, অশেষ উৎসব প্রবাহের অবিচ্ছিন্ন উৎস এবং মঙ্গল পরম্পরার স্থিরতর সোপান । তথাবিধ প্রণয়রসে সন্তরণ করা ভাগ্যবলে তাতি অপ লোকের ঘটে । দম্পতীর পরস্পরামুরাগ না জম্মিলে যে বৈবাহিক সম্বন্ধ নিরূপিত হইয়। থাকে, তাহা পরিণামে বিষম বিযময় ফল প্রসব করে। ঐ রূপ উদ্বাহসূত্রে বন্ধনকে শুদ্ধ অসুখস্থত্রে বন্ধন বলিলেও অসঙ্গত হয় না। যাহাদিগের পাণিগ্রহণ ভার অপরিণামদশী ও অবিমুয্যকারী জনক জননীর উপর
পাতা:মালতী-মাধব.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।