মালতীমাধব । ولمة কি আমার ভাগ্যে ঘটিবে? এক্ষণে তাহ চিন্তা করিলেও অমনি অন্ত:করণ বাহ্যজ্ঞান পরিশূন্য হয় ও মনে প্রচুর আনন্দোদয় হয় ! আহ। সুললিত মাধবী কুসুমে সুবাদিত সেই অঙ্গস্পর্শ আর কি পাইব ? অথবা এ অতি দুরশি, এক্ষণে এই মাত্র প্রথন ;- যাহার চিন্তায় অন্তঃকরণে অনন্ত সুখ জন্মে ও নেত্রযুগল সুশীতল হয় আর যাহ। শশিকলার সার সঙ্কলন পূর্বক প্রস্তুত, অনঙ্গদেবের মঙ্গল গ্রহ, সেই তদীয মুখচন্দ্ৰ যেন পুনরায় দেখিতে পাই । দেখিতে পাইব কি ? সত্য সত্যই এক্ষণে তাছার দর্শন ও অদর্শনে কিছুমার বিশেষ নাই । যে হেতু এক্ষণে পূৰ্ব্ব দর্শনের সংস্কার অনবরত জাগরক, বিসদৃশ ব্যাপার দর্শনেও বিলুপ্ত হইল না। জীবিতেশ্বরীর স্মৃতি দ্বারা আমার হৃদয় যেন তন্ময় হইয়া আছে! বোধ হইতেছে যেন কুহুম শরের শর প্রহর ভয়ে, প্রিয়তম তামার অন্তকরণে লীন, প্রতিবিম্বিত, লিখিত ও চিন্তাতন্তু জালে গ্রথিত হইয়। আছেন । এইরূপ ভাবন করত প্রেত ভূমিতে সঞ্চরণ করিতে লাগিলেন। ঐ শ্মশান ভূমির পরিসরে বিবিধ জীবোপছারপ্রিয়। করালা নামে এক চামুণ্ডাদেবী আছেন। তথায় রাত্রিবিহারী, অরণ্যচারী, নরমুণ্ডধারী অঘোরঘণ্টনাম এক চাণ্ডাল সাধক, শ্ৰীপৰ্ব্বত% হইতে আসিয়া মন্ত্র সাধন
- দীক্ষিণাত্যে কৃষ্ণা নদীর সন্নিধানে ঐশৈল নামে যে পৰ্ব্বত ছিল, তাহাই শ্রীপ র্যন্ত। উহ। লক্ষ্মীর পর্বত, অতিপবিত্র স্থান । পৰ্ব্বভের প্রাক্তন দম্ব স্ক প্রায়ই বিলুপ্ত হইয়াছে, কিন্তু পবিত্রতার অপক্ষয় হয় নাই। ঐ স্থানে গমনের যে ভাল পথ ছিল, তাহাও রুদ্ধ হইয়াছে ।