...” মালতীমাধব । তোমাকে মুখ দেখাইতেও লজ্জ হইতেছে। মাছ। হউক, এখন একটা মন্ত্রণ আছে। লবঙ্গিক কছিল, বল, অবহিত আছি। তখন তিনি কছিলেন, সখি ! আমার ভ্রাতার দুঃশীলতা প্রভৃতি দোষ থাকুক, তথাপি তিনি তাহার ভৰ্ত্তা, যেমনই হউন না কেন, তোমাদিগকে তাহার মতের অনুসরণ করিতেই হইবে। আর আমার ভ্রাতা স্ত্রী জাতির অতীব নিনাকর যে অপবাদ বাক্য প্রয়োগ করিয়াছেন, তোমারা যে তাছার মুল জান ন৷ তাছ নয়। লবঙ্গিক বলিল, সখি ! এ কথা কোথা হইতে উঠিল, আমরা কিছুই জানি না। তিনি কছিলেন, জানিবা না কেন ? মালতীর সেই মহানুভব মাধবের প্রতি যে সৰ্ব্বলোক প্রসিদ্ধ অনুরাগ প্রবাদ হইয়াছিল, এ তাহারই ফল। যা হউক, , প্রিয়দখি ! এখন যাহাতে ভ্রাতার হৃদয় হইতে ঐ অভিনিবেশ নিরবশেষ উন্মুলিত হয়, তদ্বিযয়ে যত্নবর্তী হও, নতুবা বড় দোষ । দেখ কুমারীগণের ত কিছুতেই ভয় নাই, ওরূপ প্রবাদে পুরুষের মনে অবশ্যই তাপ জন্মিতে পারে । অতএব সাবধান । আর আমি যে বলিলাম, ইহা যেন ব্যক্ত না হয়। লবঞ্জিকা বলিল সখি! তুমি বড় অসাবধান, রথী লোকাপবাদেও আস্থা কর, সুতরাং আমি আর তোমার সহিতও কথা কহিতে চাই না। তিনি বলিলেন, সখি ! ক্ষমা কর, তার ঢাকিতে হুইবে না। মালতী মাধবগত প্রাণী, আমরা কি তা সত্য সত্যই জানি না ? যখন বিরহ
পাতা:মালতী-মাধব.djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।